দিঘায় বছরের অধিকাংশ সময় পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়। রাজ্য, দেশ এমনকী বিদেশ থেকেও এই পর্যটন কেন্দ্রে আগমন ঘটে পর্যটকদের। পর্যটকরা এখানে দিঘা ছাড়াও ঘুরে দেখার সুযোগ পান মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুরের মতো সমুদ্র সৈকত এলাকা। এবার এই দিঘা পর্যটন মানচিত্রে আলাদা নজর কাড়তে চলেছে জগন্নাথ দেব মন্দির। দিঘাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের পুরীর আদলে জগন্নাথ দেব মন্দির খুব তাড়াতাড়ি খুলে যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন: একের পর এক দোকানে চুরি, সিসিটিভিতেও ধরা পড়ছে না চোর! হুগলিতে চাঞ্চল্য
দিঘার মান, সৌন্দর্য্য এবং ভ্রমণপিপাসুদের আকর্ষণ বাড়াতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়।
দর্শনীয় স্থানের পাশাপাশি, এবার দিঘায় পুরীর আদলে জগন্নাথ দেব মন্দিরের কারণে ধর্মীয় স্থান হয়ে উঠবে। এমনই আশা প্রকাশ করছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর জোর গতিতে চলছে এখানকার কাজ এবং সেই কাজের গতি দেখে আশা করা হচ্ছে আগামী বছরই এই মন্দির পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কম্বল বিতরণ কাণ্ডে জিতেন্দ্র-জায়াকে দ্বিতীয় নোটিশ পুলিশের, তবে দেখা নেই চৈতালির!
পুরীর আদলে দিঘাতে যে জগন্নাথ দেব মন্দির তৈরি করা হচ্ছে সেটি তৈরি হচ্ছে নিউ দিঘা রেলওয়ে স্টেশনের পাশে কাছে ভগীব্রহ্মপুর মৌজায়। এই মন্দিরটি পুরীর মন্দিরের আদলে তৈরি হওয়ার পাশাপাশি হচ্ছে ৬৫ মিটার উচ্চ অর্থাৎ পুরীর মন্দিরের সমান। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে নকশা তৈরি হওয়ার পর হিডকোর তত্ত্বাবধানে চলছে কাজ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্ন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের কাজ ইতিমধ্যেই প্রায় ৩৩ শতাংশ সম্পূর্ণ।
২০ একর জমির উপর তৈরি করা হচ্ছে এই মন্দির এবং মন্দির তৈরি করার ক্ষেত্রে রাজস্থানের বংশী পাহাড়পুরের বেলেপাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। পর্যটকদের জন্য মন্দির খুলে দেওয়া সম্পর্কে যা সূত্র মারফত খবর পাওয়া যাচ্ছে তাতে, আগামী বছর বড় দিনের আগেই মন্দির খুলে দেওয়া হবে। সম্প্রতি ওই জগন্নাথ মন্দিরের কাজ পরিদর্শনে আছেন বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি। কাজ দেখার পর তারা দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে জগন্নাথ মন্দির নিয়ে একটি বৈঠকও করেন।
সৈকত শী