পরিবারের সদস্যদের কথা অনুযায়ী, প্রায় ২০০ বছর আগে মহামারির সময় পরিবার বা বংশকে রক্ষা করতে দেবীর আরাধনা শুরু করে রায় পরিবার। রায় পরিবারের কুঞ্জবিহারী রায় পরিবারে এই পুজো চালু করেন। শুধু তাই নয় তিনি পুজোর জন্য তৈরি করেন আটচালা। সেই আটচালা অনেকবার সংস্কারও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এখানে গেলেই পাবেন নজরকাড়া সব শাড়ির কালেশন! দেখলে অবাক হবেন আপনিও
advertisement
পরিবারের সদস্য অঞ্জনা রায় বলেন, “পরিবারের পূর্বপুরুষ কুঞ্জ বিহারী রায় এই পুজো শুরু করেছিলেন মহামারীর হাত থেকে বংশ রক্ষা করতে। নির্বংশ হওয়া থেকে বাঁচতে কুঞ্জ বিহারী রায়ের হাত ধরেই শুরু হয় এই পুজো।” এই পরিবারে বর্তমানে সদস্য সংখ্যা প্রায় ৮০ জন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রায় পরিবারের মানুষজন বাস করলেও পুজোর কটা দিন সমস্ত পরিবার মহিষাদলে হাজির হন। রায় বাড়ির পুজোর অন্যতম প্রসাদ নারকেল নাড়ু, তাছাড়া থাকে ফল।
আরও পড়ুন: আবার হাতির হামলায় মৃত্যু! ঘটনায় চাঞ্চল্য ডুয়ার্সে
প্রত্যেক দর্শনার্থীকেও দেওয়া হয় নাড়ু প্রসাদ দেওয়া হয়। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন সর্বজনীন পুজো গুলিতে থিমের মণ্ডপ, থিমের প্রতিমা দেখার জন্য দর্শনার্থীদের ভীড় জমলেও প্রাচীন পারিবারিক পুজো গুলিতে প্রাণের ছোঁয়া পাওয়া যায়। রায় পরিবারের পুজো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ সমাগম ঘটে।
Saikat Shee