পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নদনদী, খাল বিল ও সমুদ্র দ্বারা পরিবেষ্টিত। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় ৬৫ কিলোমিটার বিস্তৃত উপকূল। নদ নদী সমুদ্র থাকার কারণে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সারা বছর সামুদ্রিক মাছের যোগান মেলে। মাছ ধরা থেকে মাছ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত জেলার বহু মানুষ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় দু'হাজার মৎস্যজীবীর ট্রলার লঞ্চ ও ভুটভুটি ইলিশ শিকারের উদ্দেশ্যে সমুদ্রে জাল ফেলেছে। কিন্তু ধরা পড়ছে না সেভাবে ইলিশ। আর তাতেই হতাশ ট্রলার মালিক থেকে মৎস্যজীবীরা।
advertisement
আরও পড়ুন - MS Dhoni Money : ধোনির কত হাজার কোটি টাকা আয়, ক্রিকেট খেলে নানা ব্যবসায় টাকা লাগান মাহি
মরশুমের শুরুতে জালে কিছু ইলিশ উঠলেও সময় যতই এগিয়েছে ততই আশাভঙ্গ হয়েছেন মৎসজীবিরা। জালে পর্যাপ্ত ইলিশ না ওঠায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে মৎস্যজীবি থেকে শুরু করে ট্রলার মালিকদের। মরশুমের শুরুতে ইলিশ পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছিলেন মৎসজীবিরা। ইলিশ বেশি ধরা পড়লে আগামী কয়েক মাস আর্থিক লাভের মুখ দেখতে পেতেন।
প্রাকৃতিক কারণ ও সেই সঙ্গে বেড়েছে ট্রলারের খরচ। দাম বেড়েছে ট্রলারের জ্বালানির। কিন্তু ইলিশ না ওঠায় ক্ষতির আশঙ্কা করছে ট্রলার মালিক থেকে মৎস্যজীবীরা। দিঘা মোহনার এক ট্রলার মালিক বলেন, 'সারা বছর ইলিশের আশায় বসে থাকি। দিন দিন সমুদ্রে ট্রলার পাঠানোর খরচ বাড়ছে। ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। খরচ উঠে আসবে না। যদিও মৎস্যজীবীরা আশা করছে আবহাওয়া অনুকূল হলেই জালে ইলিশ উঠে আসবে। মৎস্যজীবীদের কথায়, 'পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলে, গভীর সমুদ্রে ইলিশের ঝাঁক দেখা যাবে না। নেই তেমন পুবের বাতাসও।' ক্যালেন্ডারে ভরা বর্ষার মাস থাকলেও, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি। নিম্নচাপের ঝিরঝিরে বৃষ্টি ও হাওয়ায় ইলিশের ঝাঁক জালে ধরা পড়ে। বৃষ্টি না হওয়ায় এখন সেভাবে দেখা মেলেনি রুপোলি শস্যের।
আরও পড়ুন - Earn Money: ‘এই’ পাঁচটি শেয়ার দিয়েছে ৫০ শতাংশ রিটার্ন, আগামী এক বছরেও টাকা রোজগার হতে পারে ভালই
যদিও আগামী কয়েক দিনে পরিস্থিতি বদল হলে ফের সুসময় আসবে বলে মনে করেছেন ট্রলার মালিক থেকে মৎস্যজীবীরা। তবে দিঘায় যে প্রতিবছর ইলিশের যোগান কমছে। এ বিষয়ে দিঘা মোহনা ফিসরম্যান ও ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস জানান, গত বছর মরশুমের প্রথমে প্রায় ১০ টন ইলিশ মাছ পাওয়া গিয়েছিল। এবছর তার পরিমাণ নেমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২ টনের কাছাকাছি।' বাজারে ইলিশের টান থাকলেও আবহাওয়ার বদল কবে হবে সেই আশায় বুক বাঁধছে মৎস্যজীবী ও ট্রলার মালিকেরা।
Saikat Shee