তারপর বাবা-মা প্রথমে তাকে তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় সেখান থেকে চিকিৎসকেরা কলকাতায় গিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দেয়। সেইমত কলকাতার বাঙ্গুর হাসপাতলে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয় তিস্তাকে। স্পাইনাল কর্ডের সিস্ট অপারেশন করা হয়। কিন্তু অপারেশনের পর থেকেই তিস্তা সোজা হয়ে দাঁড়ানো বা হেঁটে চলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
আরও পড়ুনঃ মানসিক ও অস্থি সংক্রান্ত প্রতিবন্ধী হয়েও মাধ্যমিকে সফল শম্পা
advertisement
এরপরেও দীর্ঘদিন চিকিৎসা চালিয়ে কোন লাভ হয়নি। অন্যের সাহায্য ছাড়া সে দাঁড়াতে পারে না চলতে পারে না। তারপর সে তার পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে। তিস্তার বাবা ডাকঘরে স্বল্প সঞ্চয়ের এজেন্ট, মা বাড়িতে টেলারিং চালান। মাধ্যমিকের পড়াশোনার জন্য বাবা-মার পাশাপাশি তার স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা ও তাকে সাহায্য করেছে।
আরও পড়ুনঃ বাবা করেন টিউশান, মা গৃহবধূ, সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে দেবশিখা মাধ্যমিকে তৃতীয়
তিস্তা পড়াশোনায় ভালো ছাত্রী। গান ও ছবি আঁকায় সমান দক্ষ সে। তিস্তা জানিয়েছে অদূর ভবিষ্যতে পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে গিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়।
Saikat Shee