দোকানটি মূলত হার্ডওয়ার্স -এর । তার সঙ্গে বিক্রির জন্য বিভিন্ন ধরনের জিনিস পত্র পাওয়া যেত। দোকানটিতে পেট্রোল বিক্রি হত। নিমাই সামন্তের ছেলে বিশ্বজিৎ সামন্ত পেট্রোল পাম্প থেকে গাড়িতে করে পেট্রোল কিনে এনে দোকানে এক লিটার, দু লিটার করে মোটরবাইক চালকদের বিক্রি করত। এদিন দুপুরে বিশ্বজিৎ সামন্তের স্ত্রী পেট্রোল বোঝাই গ্রাম থেকে পেট্রোল বোতলে ঢেলে ভরছিল। সেই সময় তার সঙ্গে থাকা ছেলে রোল ক্যাপস বন্দুক নিয়ে খেলা করছিল। তার আগুন ছিটকে পড়ে বোতলের দিকে।
advertisement
তৎক্ষণাৎ আগুন লেগে যায় সারা দোকানে। দোকানের ভেতরে অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে রান্নার জন্য মজুদ ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। মুহূর্তের মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডারটিতে আগুন লেগে যায়। এক মুহূর্তের মধ্যে ধূলিসাৎ হয়ে যায় দোকানের যাবতীয়সামগ্রী। গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লাগায় প্রচন্ড বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠে এলাকা। খবর পাওয়া মাত্র মহিষাদল থানার পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়।
আগুন লাগার ঘটনার চীৎকার শুনে আশেপাশের মানুষজন জড়ো হয় এবং তারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। দোকানটিতে দিনের পর দিন এই ভাবে পেট্রোল বিক্রি হত বলে অভিযোগ। পেট্রোল থেকে আগুন লাগার মূল কারণ বলে জানিয়েছেন অমৃতবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রত্যক্ষদর্শী সত্য রঞ্জন অধিকারী। কিন্তু আগুন নেভানোর জন্য Fire Extinguisher অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রটি দোকানে ছিল না। হলদিয়া থেকে দমকল বাহিনী (Fire Brigade)-র একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই এলাকার জনসাধারণ আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
আরও পড়ুনঃ এবার ভুলে যান পুরী! দিঘাতেই হচ্ছে জগন্নাথ ধাম
দমকল বাহিনীর অফিসার- ইন-চার্জ তারকেশ্বর সিনহা বলেন, আমাদের পৌঁছানোর আগেই আগুন নেভানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এইভাবে প্রত্যন্ত গ্রামের ভিতরে দোকানে পেট্রোল রেখে ব্যবসা করা উচিত নয়। দোকান ঘরটি পাকার ছাদ ঢালাই ছিল বলে পাশের দোকানদার গুলি রেহাই পেয়ে গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই প্রথম দোকান ঘরে আগুন লাগার ঘটনা নয়।
আরও পড়ুনঃ নন্দকুমারের সাউতান চকে দুর্গাপুজো নয়, লক্ষ্মীপুজো বড় উৎসব!
পুজোর ঠিক আগেই নন্দকুমার থানায় এলাকায় খঞ্চি বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন বেশ কিছু দোকান ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়। জনসাধারণের প্রশ্নের মুখে দমকল বাহিনীসহ প্রশাসন। সাধারণ মানুষ জানতে চায়, বিভিন্ন বাজারে থাকা দোকান ঘরগুলি অগ্নি নির্বাপক নিয়ম মেনে চলছে কিনা তা খতিয়ে দমকল বাহিনীর তরফে দেখা হয় কিনা।
Saikat Shee