নন্দীগ্রামে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব গ্রাম পঞ্চায়েত গুলিতে ক্ষমতা দখল করেছিল তৃণমূল। নন্দীগ্রাম ১ ও ২ ব্লকের ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ টিতেই জিতেছিল তৃণমূল স্বাভাবিক ভাবেই এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব নজরে শুভেন্দুর ‘নন্দীগ্রাম’ এ বিজেপি কী ফলাফল করে। আর ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১০টিতে জয়ী বিজেপি ও ৭টিতে জয়ী শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মিমির ‘তৃণমূলের’ মামী জিতলেন, হারলেন সিপিএম-কংগ্রেসের মামী
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই নন্দীগ্রামের ভোটার হন শুভেন্দু। শুভেন্দু অধিকারীর বুথে জয়ী হয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত শেষ বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর জয় নিয়ে বিস্তর জল ঘোলা হয়েছে। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফলাফলে পল্লাভারী বিজেপির নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের আমদাবাদ ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী তৃণমূল, আমদাবাদ ২ গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি, বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি, বয়াল ১ ও বয়াল ২ বিজেপি।
আরও পড়ুনঃ গণনা কেন্দ্রে বিরোধীদের ঢুকতে বাধা! পথ আটকে বিক্ষোভ! হাজির দিলীপ ঘোষ
খোদামবাড়ী ১ গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল। খোদামবাড়ী ২ গ্রাম পঞ্চায়েত দখলে বিজেপি। নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের মোট ৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫ টির দখল নিল বিজেপি। বাকি ২ টি তৃণমূলের দখলে গেল।
অন্যদিকে, নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের ১০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সমান সমান দখল নিল বিজেপি ও তৃণমূল। ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দখলে বিজেপি। মহম্মদপুর ও কেন্দ্যামারী গ্রাম পঞ্চায়েত দখল তৃণমূলের। নন্দীগ্রাম, হরিপুর ও গোকুলনগর গেল বিজেপির হাতে। সামসাবাদ, দাউদপুর ও কালীচরণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দখলে তৃণমূল। সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল বিজেপি। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে এই নন্দীগ্রাম থেকেই রাজ্যজুড়ে পালাবদলের ঢেউ উঠেছিল। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন আবার সেই ইঙ্গিত বহন করছে।
Saikat Shee