কলকাতার এক কারিগর রিন্টু পাল তাঁকে পেতলের দেবী দুর্গা মূর্তি তৈরির কথা বলেন। ফাইবারের ছাঁচে পিতলের ঢালাই করে তিনি এই মূর্তি তৈরি করেছেন প্রায় আড়াই মাসের পরিশ্রমে। দুর্গামূর্তিটি ৮ ফুট লম্বা এবং ওজনে প্রায় এক টন বা ১০০০ কেজি ওজনের কাছাকাছি।
আরও পড়ুনঃ আর্থিক সঙ্কটে কাটছে দিন, পর্দার প্রথম মহিষাসুরের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ালেন সায়নী
advertisement
এতদিন ধরে নিজের মেয়ের মতোই এই দুর্গা প্রতিমা গড়েছেন, তৈরি শেষ হয়ে যাওয়ার পরে এ বার মূর্তি কলকাতায় পাঠানোর পালা। বিয়ের পরে নিজের মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর সময় যেমন প্রত্যেক বাবা বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন, তেমনই চোখে জল বিষাদগ্রস্ত মুখ নিয়ে দেবীর মূর্তি কলকাতায় পাঠিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বকর্মা পুজোর সকালেই দুর্যোগের শুরু, নতুন ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে জেলায় জেলায় প্রকৃতির তাণ্ডব
প্রায় তিন মাস ধরে তিল তিল করে গড়ে তুলছিলেন দেবী প্রতিমা। প্রতিমা গড়ার কাজ শেষ। বিদায় বেলায় মন ভারাক্রান্ত শিল্পীর চোখের জলে বিদায় দিলেন নিজের হাতে গড়া প্রতিমাকে। প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদল গড় কমলপুর গ্রামে বেশ কিছু পরিবার ডোকরার শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। নিজস্ব কারখানায় ছোট বড় নানান সাইজ দেবদেবীর মূর্তি গড়ে তোলেন তাঁরা। এ বার ১ হাজার কেজি ওজনের দেবী দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে কলকাতায় পাঠালেন মহিষাদলের প্রফুল্ল রানা।
Saikat Shee