এরুয়ার কর্জনা চটি, বামুনাড়া পেরিয়ে মুরাতিপুর মোড়।সেই রাস্তা দিয়ে তিন কিলোমিটার গেলেই এরুয়ার গ্রাম। বাংলার বৈষ্ণব আর তন্ত্রমতে শাক্তধারার যুগল বন্ধনের ধারা আজও বয়ে চলেছে লোকোৎসব। এই গ্রামে শ্রাবণ মাসে হয় সোনার কালীপুজো। গ্রামের মাঝে কালীতলায় ঠাকুর আসেন। সোনা আর অষ্টধাতুর মূর্তি। একটি প্রাচীন রথে চেপে দেবীমূর্তি আসে কালীতলায়। সেই মূর্তি নিয়ে প্রদক্ষিণ করা হয় গোটা গ্রাম। শুরু হয় পুজো। পুজো ঘিরে সকলেই মেতে ওঠেন উৎসবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ৩০ টাকার লটারিতে ১ কোটি! রাতারাতি বদলে গেল রানাঘাটের যুবকের ভাগ্য!
সাতদিন ধরে চলে মেলা। মাটির পুতুল, নাগরদোলা আর মিষ্টি নিয়ে আজও চলে আসছে এই সাবেকি মেলা। তার সঙ্গেই পুরনো গ্রামের হাটে চলে কেনাকাটা। লোটো গান, বাউল গান নিয়ে চলে সাতদিনের উৎসব। এইগ্রামে বাস চার হাজার পরিবারের বাস। প্রায় চল্লিশ শতাংশই মুসলিম এই গ্রামে। এই কালীপুজোর আয়োজন করেন সকল গ্রামবাসী মিলে । স্থানীয়রা জানান , শুধু এই পুজো নয় গ্রামের সব পুজো উৎসবে হিন্দু মুসলিম এসব কোনও ভেদাভেদ নেই। সব উৎসবেই গ্রামের সকলে মিলে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করা হয় । আর এই সোনার কালী পুজোয় উৎসবে মেতে ওঠে গ্রামবাসী । বহু বছর ধরে এই পুজো হয়ে আসছে। সাত দিন ধরে মেলা হয় হাট বসে ।
Malobika Biswas