সত কষ্ট হলেও এই পেশা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবেননি তিনি। এখনও পর্যন্ত কোনও ভাবে সাহায্য আসেনি সরকারের পক্ষ থেকে। তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করছেন গোলক খাঁ। সেই ১৫ বছর বয়স থেকে প্রতিমার ডাকের সাজ করছেন গোলক। এরপর বিবাহিত জীবনে পা দিয়েছেন স্ত্রীকে শিখিয়েছেন ডাকের সাজ। এভাবেই সংসারে এসেছে ছেলে ও মেয়ে তাদেরকেও ডাকের সাজের কাজে যুক্ত করেছেন গোলক। পরিবারের সকলে মিলেই ডাকের সাজ করেন এখনও।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দু'বছর পর ফের দূরশিক্ষা বিভাগ চালু হল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে
কিন্তু কখনও শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোর কথা ভাবতেও পারেননি এই গোলক খাঁ। কারণ পুজোর মরশুমে দুর্গা, কালী, জগদ্ধাত্রী মিলিয়ে ৩০ থেকে ৪০ টি প্রতিমার ডাকের সাজের বায়না পান তিনি। তা দিয়ে টেনেটুনে সারা বছর চলে যায় সংসার। তাই বাইরে থেকে লোক এনে কাজ করিয়ে বাড়তি খরচ করার কথা ভাবতেই পারেন না গোলক বাবু। গোলক খাঁ এর কথায়, এই কাজে এমনিতেই খাটুনি বেশি৷ অথচ সেই অনুযায়ী পারিশ্রমিক মেলে না৷
আরও পড়ুনঃ সেজে উঠেছে বর্ধমানের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট
তাই নতুন প্রজন্ম আর আগ্রহ দেখাতে চাইছেন না৷ বরং তাঁরা অন্য কোনও কাজের সন্ধানে বেরিয়ে যাচ্ছেন৷ তবে এই পেশাটাকে ভালোবাসেন তাই এই পেশাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন৷ আগে দুর্গা পূজো কালী পুজোয় ৩০ টার বেশি প্রতীমার বায়না আসতো। তবে এখন শারীরিক ক্ষমতা কমে যাওয়ায় বেশি কাজ করতে পারেন না তিনি।
Malobika Biswas