জানা গিয়েছে, গলসী দুই ব্লকের কুরকুবা গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়কৃষ্ণপুর এলাকায় এক কোটি তিন লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা ব্যায়ে নির্মাণ হয়েছিল পাবলিক হেল্থ ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএইচই) এর নলবাহিত জল প্রকল্প। এরপর গত ২৯ জুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় দুর্গাপুরে দুই বর্ধমানকে নিয়ে হওয়া প্রশাসনিক বৈঠকে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। সেই প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম ছিল গলসীতে নির্মিত হওয়া নলবাহিত জল প্রকল্প। উদ্বোধনের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবিও করা হয়, জলপ্রকল্প থেকেই জয়কৃষ্ণপুর, তারানগর, পিলগ্রাম ও সিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দারা জল পাবেন। প্রকল্পের মাধ্যমে জয়কৃষ্ণপুর সমেত আশপাশের মৌজার প্রায় ৫৯৬৮ টি পরিবার উপকৃত হবেন। উদ্বোধন হয়ে যাওয়ার পরও কলে আসেনি জল।
advertisement
আরও পড়ুন - Wriddhiman Saha News: বাই বাই বাংলা, ত্রিপুরায় সই সেরে নিলেন ঋদ্ধিমান সাহা
ইতিমধ্যেই এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গ্রামবাসীরা। ব্লকের পি-এইচ-ই -আধিকারিকে নিজেদের অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে এখনও সুরাহা হয়নি।গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, জয়কৃষ্ণপুরের বাসিন্দারা জল পাচ্ছেন প্রকল্পের, তবে পাশের গ্রাম তারানগর, পিলগ্রাম ও সিমুলিয়ায় বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি কল থাকলেও মিলছে না জল। তাই বাধ্য হয়ে পুকুরের জল ব্যাবহার করতে হচ্ছে তাদের।
আরও পড়ুন -Earn Money: ‘এই’ পাঁচটি শেয়ার দিয়েছে ৫০ শতাংশ রিটার্ন, আগামী এক বছরেও টাকা রোজগার হতে পারে ভালই
যদিও গ্রামবাসীদের অনেকে বলছেন, কল লাগানোর পর কয়েক মাস আগে মাত্র সাত দিনের জন্য জল এসেছিল কলে। কিন্তু তার পর ঠিকাদার সংস্থার সদস্যরা যখন বাড়ি গিয়ে আধার কার্ডের সঙ্গে ’জিও ট্যাগিং’ করান। তারপরই কলে জল আসা বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে এনিয়ে গলসী দুই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বাসুদেব চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে কোনও অভিযোগ আসেনি। যদি এখনও গ্রামবাসীদের পুকুরের জল ব্যবহার করতে হয় তাহলে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
Malobika Biswas






