স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নার উত্তমপুর এলাকার বাসিন্দা নন্দন প্রধান। পেশায় টোটো চালক নন্দনের সঙ্গে বছর তিনেক আগে পাশের গ্রাম রামচন্দ্রপুর এলাকার যুবতী সুমিতার দেখাশোনা করে বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের বছর দেড়েকের এক পুত্র সন্তান শুভম। এমন পরিস্থিতিতে পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে নন্দন এবং সুমিতার দাম্পত্য জীবনে ছেদ পড়ে। মাস দেড়ের আগেই গ্রাম্য সালিশি সভায় বসে তাই উভয় পক্ষের বোঝা পড়ায় স্বামী নন্দনের বাড়ি ত্যাগ করে কোলের ছেলে শুভমকে সঙ্গে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসে সুনিতা। সেই সঙ্গে এই গ্রামেরই যুবক কার্তিক কুইলাকে বিয়ে করে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন তারা। কার্তিক পেশায় আখের রস বিক্রেতা।
advertisement
আরও পড়ুন: ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশের আগেই ৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেফতার
রামচন্দ্রপুর এলাকায় এই কার্তিক কুইলার বাড়ি সামনের একটি পুকুর থেকে ছোট্ট কোলের শিশু শুভমের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্বাভাবিক কারণেই মুহূর্তেই এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশ এলাকার কয়েকশো মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। অন্যদিকে, নিজের ছেলের এমন মর্মান্তিক পরিনিতির পর স্ত্রী সুমিতা ও তার নতুন প্রেমিক স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন নন্দন। তার অভিযোগ, কোলের সন্তানকে জোর করে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের দাবি জানিয়ে তিনি ময়না থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন।
আরও পড়ুন: ঠিক যেন সিনেমার গল্প, রায়দিঘিতে রাতের অন্ধকারে ডাকাত ধরল পুলিশ
এই ঘটনার তদন্তে নেমে মৃত শিশুর মা সুনিতা প্রধান এবং কার্তিক কুইলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ময়না থানার পুলিশ। সেই সঙ্গে তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালের মর্গে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয় মৃত শিশুটির। স্থানীয় উত্তমপুর এলাকার বাসিন্দা তথা ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য শক্তি মাইতি বলেন, এই ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক। মাস দেড়েক আগে গ্রাম্য সালিশির মাধ্যমে ওই দম্পতি পৃথকভাবে থাকতে শুরু করেছিলেন। মায়ের কাছেই ওই কোলের সন্তান ছিল। এ বিষয়ে তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সাকিব আহমেদ জানিয়েছেন, 'ঘটনার তদন্ত চলছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলেই পুরো বিষয়টা পরিষ্কার হবে।'
সৈকত শী