এই হুল দিবস উপলক্ষে বিরহাটা থেকে কার্জন গেট সংলগ্ন জেলাশাসকের অফিস এর ঠিক সামনে সিধু কানু মূর্তি পর্যন্ত একটি বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রারও আয়োজন করা হয় এদিন। এই শোভাযাত্রার ঠিক সামনে ছিলেন বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি দেবু টুডু। এই শোভাযাত্রায় বহু আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনও অংশগ্রহণ করেন। এদিন বর্ণনাঢ্য শোভাযাত্রায় দেখা যায়রাজ্যের ক্ষুদ্র মাঝারি ও কুটিরশিল্প এবং প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথাকে ধামসা মাদল বাজাতে। বর্ধমান শহরেই নয় জেলার একাধিক জায়গায় পালিত হল হুল দিবস।
advertisement
আরও পড়ুনঃ খুলেছে মিষ্টি হাব, বাড়ছে মিষ্টি বিক্রি
কালনা, পূর্বস্থলী সহ অন্যান্য জায়গায় পালিত হচ্ছে হুল দিবস। উল্লেখ্য, সাঁওতাল বিদ্রোহের মূল উদ্দেশ্যই ছিল, ব্রিটিশ সৈন্যবাহিনী এবং অসৎ ব্যবসায়ী, মুনাফাখোর মহাজনদের শোষণ, অত্যাচার ও নির্যাতনের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করে একটি স্বাধীন সার্বভৌম সাঁওতাল রাজ্য গড়ে তোলা। ১৮৫৫ সালের আরও ৭৫ বছর আগে ১৭৮০ সালে সাঁওতাল জননেতা তিলকা মুর্মু, যিনি তিলকা মাঞ্জহী নামেও পরিচিত ছিলেন, তাঁর নেতৃত্বে শোষকদের বিরুদ্ধে গণসংগ্রামের সূচনা করেছিল সাঁওতালরা। সাঁওতালদের নিয়ে মুক্তিবাহিনী গঠন করে পাঁচ বছর ধরে ব্রিটিশ অনাচার ও শোসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়েছিলেন তিলকা মাঞ্জহী৷
আরও পড়ুনঃ মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে জেলায় তৈরি হল টিম
তার ঠিক ৭৫ বছর পর সিধু ও কানুর নেতৃত্বে সান্তাল হুল-এর সূচনা হয়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম দিকের সাঁওতাল বিদ্রোহের দুজন সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা এই ভাতৃদ্বয়। তবে কিছু লোকের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে ব্রিটিশের হাতে গ্রেপ্তার হন সিধু। পরে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে ১৮৫৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ভগনডিহির সন্নিকটে পাঁচকাঠিয়া বটবৃক্ষে ফাঁসির মঞ্চে তোলা হয় কানুকে। তাঁদের সেই আত্মত্যাগকে সম্মান জানাতেই আজও পালিত হয় 'হুল দিবস'।
Malobika Biswas