যেহেতু চোরা চালানকারীদের দৌরাত্ম্য বেরেছে, তাই এবার পথে নামল বন দফতরের আধিকারিকরা। চলতি সপ্তাহেই পরিযায়ী পাখিদের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে। আর তারপরই কার্যত নড়েচড়ে বসে জেলা বন দফতরের আধিকারিকরা। শুরু হল বন দফতরের প্রচার। দামোদর নদের পাড় বরাবর চৈত্রপুর থেকে ইদিলপুর পর্যন্ত অর্থাৎ চৈত্রপুর, শ্রীরামপুর, সদরঘাট ও ইদিলপুর পর্যন্ত এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালানো হল বন দফতরের তরফে। মাইকিং করে, ফ্লেক্স নিয়ে এলাকায় প্রচার চালান আধিকারিকরা। পরিযায়ী পাখিদের প্রাণ যাতে আর চলে যায় তাই এদিন সাধারণ মানুষকে সচেতন করেন বন দফতরের আধিকারিকরা।
advertisement
আরও পড়ুন : মর্মান্তিক! টিকাকরণ শিবিরে অ্য়াসিড পড়ে জখম এক শিশু সহ তিন!
আরও পড়ুন : ছাত্র বিক্ষোভের মাঝেও চার বছরের শিশুর সফল অস্ত্রোপচার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে
বন দফতরের তরফে মাইকিং করে যা জানানো হয়, "পরিযায়ী পাখিদের কেউ কোনওভাবে বিরক্ত করবেন না। এঁরা আমাদের অতিথি। পরিযায়ী পাখিদের ঢিল ছুঁড়ে কিংবা অন্য কোনভাবে বিরক্ত করবেন না। তাদের শিকার করবেন না। পরিযায়ী পাখিরা খাদ্যের সন্ধানে ও শীতের মর সুমে কিছুটা সময় এখানে থাকে। তাই তাদের শান্তি নষ্ট করা আমাদের উচিত নয়। কেউ বা কারা যদি পাখি মারেন বা বন্য প্রাণী হত্যা করেন বা শিকার করেন সেক্ষেত্রে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী সেই ব্যক্তি বা তাদের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা সহ সাত থেকে আট বছর পর্যন্ত জেল হেফাজত হতে পারে। ফলে পরিযায়ী পাখিদের বিরক্ত না করে তাদের উপভোগ করুন।"
Malobika Biswas