কিন্তু এই ঘটনার পরেই ফের বিদ্যুৎ দপ্তরের তরফে জানানো হয় নতুন ট্রান্সফর্মারের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া লাইন গুলি কেটে দেওয়ার নির্দেশ এসেছে। আর এই কথা শুনেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। সঠিক পরিষেবা দিতে না পারলে বিদ্যুতের লাইন কেটে দিতে বলে বিক্ষোভে নামে কেলিরী এলাকার মানুষেরা।
আরও পড়ুন ঃ আকাশে উড়বে কয়েকদিনের মধ্যেই, বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে হেলিকপ্টার বানাল ছেলে
advertisement
এই প্রসঙ্গে এলাকার এক ব্যক্তি জানান, “আমরা শান্তিপ্রিয় লোক। আমাদের সাধারণ একটা দাবী, যেহুতু আমাদের গ্রামে একটা নতুন ট্রান্সফর্মার বসেছে তাই আমাদের লাইনটা যাতে অবিলম্বে জুড়ে দেওয়া হয় স্কুল এবং আমাদের গ্রামে। আমরা এসএমের কাছে গিয়েছিলাম এসএম বলেছিলেন যে লাইন জুড়ে দেওয়া হবে কিন্তু এখন বলছেন যে ব্লকের নির্দেশ আছে লাইন জোড়া হবেনা।”
স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর এলাকার কেলিরীতে এই সমস্যার সমাধানের জন্য জামালপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি নেহেমুদ খান এবং পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির প্রচেষ্টায় এই সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু পরদিনই তারা দেখেন বিদ্যুৎ দপ্তরের গাড়ি এসে টহল দিচ্ছে।
আরও পড়ুন ঃ নকল ই টিকিট দিয়ে প্রতারণা, বর্ধমান মেডিক্যালে রমরমা কারবার! পুলিশের জালে ১
এলাকাবাসীরা বিদুৎ দপ্তরের কর্মীদেরকে প্রশ্ন করে জানতে পারে, যে লাইনগুলি নতুন ট্রান্সফর্মারের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিলো সেগুলি কেটে দেওয়ার অর্ডার এসেছে। বিদুৎ দপ্তরের কর্মীদের কথা শুনে ক্ষোভ ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। তাদেরকে ও তাদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করে তারা।
এই বিষয়ে বিদুৎ দপ্তরের এক কর্মী জানান, বিষয়টা হচ্ছে কাল রাত্রে লাইনটা জোড়ার পর লোডটা মাপা হয়েছে। লোড মাপার পর দেখা যাচ্ছে ট্রানফর্মারে অতিরিক্ত বেশি লোড পড়ছে। সেই কারণে স্টেশন ম্যানেজার বলেন যে লাইন কেটে আগে লোডটা চেক করতে। এটা ফাইনাল কাটা নয়। আমরা লোড কেটে আজকে সন্ধ্যে বেলা লোড মাপবো যদি না হয় আমরা ট্রানফর্মারের লোড বাড়াবো। অবশেষে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পৌঁছায় জামালপুর থানার পুলিশ।
Bonoarilal Chowdhury