রাকেশবাবুর দাবি, অভিযুক্তরা মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর ও কুলি এলাকার বাসিন্দা । অভিযোগ পেয়ে পুলিশ মামলা রুজু করেছে । ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । পুলিশকে রাকেশ সরকার জানিয়েছেন, তিনি একটি কাপড়ের দোকান চালাতেন। সেই সূত্রে মুর্শিদাবাদের ওই পাঁচ জনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তাদের বাড়িতেও তাঁর যাতায়াত ছিল। অভিযোগ, প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে ওই পাঁচ জন তাঁকে ও তাঁর দাদাকে প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১২ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩৭০ টাকা দাবি করে ।
advertisement
আরও পড়ুন : সকলের সাহায্যে শোধ গৃহঋণ, বিপদমুক্তির পর সকলকে কৃতজ্ঞতা প্রয়াত অভিনেতার স্ত্রীর
রাকেশবাবু ব্যবসার পুঁজি ভেঙে ও স্ত্রীর যাবতীয় গয়না বিক্রি তিনি সেই টাকা তাদের হাতে তুলে দেন। এমনকি নিজেদের বসতবাড়িটিও তাঁকে বন্ধক রাখতে হয় । টাকা নেওয়ার সময় অভিযুক্তরা তাঁকে জানিয়েছিল, ছয় মাসের মধ্যে নিয়োগপত্র মিলে যাবে । কিন্তু, ছয় মাস তো দূরের কথা, বছরের পর বছর পার হয়ে গেলেও তাঁদের দুই ভাইয়ের কেউই নিয়োগপত্র পাননি ।
আরও পড়ুন : মাথায় আঘাত থেকে রক্তক্ষরণ, দেহে একাধিক আঘাত, আর যা যা জানা গেল সাইরাস মিস্ত্রির অটোপ্সি রিপোর্টে
জানা গিয়েছে, রাকেশ সরকারের সাত বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। সর্বস্ব খুইয়ে এখন সংসার চালানোই দায় হয়ে গেছে রাকেশের। সেই কারণে কয়েকমাস আগে মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে গেছেন রাকেশের স্ত্রী। ওই টাকা ফেরত না পেলে তাঁরা শেষ হয়ে যাবেন বলেই জানান রাকেশ ।