বর্ধমান শহরের তেঁতুল তলা, নতুন গঞ্জ, বড়বাজার, কালনা গেট, বড় নীলপুর-সহ বিভিন্ন সবজি বাজারে সবজির মূল্য দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে৷ যেমন, আদা- ২৫০ টাকা কেজি, রসুন ১৫০ টাকা কেজি,পটল ৮০ টাকা কেজি, ঢেঁড়শ ৫০-৬০ টাকা কেজি, উচ্ছে ৪০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ২৫ টাকা ও আলু ২০ টাকা কেজি। কার্যত, সবমিলিয়ে গ্রীষ্মের দাবদাহে গরমে বাজার করতে গিয়ে চড়া দামের কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে শহরবাসীকে।
advertisement
আরও পড়ুন: আয়লা-আমফানের স্মৃতি এখনও দগদগে! ঘূর্ণিঝড় মোকার আগে জোর মাইকিং কাকদ্বীপে
অন্যদিকে, সবজি বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, আদা যেটা ৮০ টাকা কেজি ছিল, সেটা এখন দাঁড়িয়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি , রসুন ৭০-৮০ টাকা ছিল সেটা এখন ১৫০ টাকা, পটল কদিন আগেই ৪০ টাকায় নেমেছিল সেটা এখন ৮০ টাকায় উঠেছে । প্রত্যেক সবজির দাম এখন আকাশ ছোঁয়া। বিক্রিবাটাও কিছুটা কমেছে, প্রায় মানুষ কাজ চালানোর মতো বাজার করে নিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন:তিল তিল করে শক্তি বাড়াচ্ছে মোকা! চলতি সপ্তাহের শেষেই উথালপাতাল সমুদ্র, তুমুল ঝড়বৃষ্টি
মূলত, এই তীব্র গরমের কারণেই সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী বলে মনে করছেন সবজি বিক্রেতারা। বাজার করতে আসা সাধারণ মানুষরা জানাচ্ছেন, ‘‘প্রচণ্ড দাম বেড়ে গেছে , আমাদের মধ্যবিত্ত সংসার নুন আনতে পান্তা ফুরায়। দাম এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে বাজার করা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। দাম কমানো দরকার।’’ কেউ কেউ আবার জানিয়েছেন, ‘‘৫০০ টাকার বাজার করেও ব্যাগ ভর্তি হচ্ছে না।’’
সবজি বিক্রেতারা আরও জানান সপ্তাহ খানেক আগেই সমস্ত জিনিসের দাম কম ছিল, কিন্ত হঠাৎ দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় এবং আমদানি কম হওয়ায় এই মুহূর্তে বেশি করে সবজি তুলেও রাখা যাচ্ছে না।
এর পাশাপাশি ক্রেতাদের আশা যদি ঝড়বৃষ্টি হয় তাহলে হয়তো সবজির দাম কম হবে। এখন দেখার কতদিন চলবে এই গরম? আর কবে বৃষ্টিতে স্বস্তি পাবে জেলার মানুষ এবং কবে কমবে চড়া সবজির দাম।





