প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে উঠে পড়ে লেগেছেন মৃৎশিল্পীরা। পরিবেশ দূষণ, স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং প্লাস্টিক বর্জ্যের ক্ষতিকর প্রভাবের কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ। মাটির তৈরি জিনিস শরীরের পক্ষে যেমন নিরাপদ, তেমনই প্রকৃতির জন্যও উপকারী। তাই গ্রাম থেকে শহর, সর্বত্রই বাড়ছে এর চাহিদা। শুধু সাদামাটা মাটির পাত্র নয়, এখন তাতে যোগ হয়েছে রঙের ছোঁয়া। রং-তুলির সাহায্যে নানা নকশায় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে মাটির বাসনপত্র। ফলে এগুলি ব্যবহারযোগ্য হওয়ার পাশাপাশি হয়ে উঠছে ঘরের শোভাও।
advertisement
আরও পড়ুন: দিঘায় ছোটদের জন্য আলাদা আনন্দ! বাচ্চাদের নিয়ে গেলে মিস করবেন না এই রঙিন পার্ক, রইল হদিশ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার বালিঘাই বাজারে মৃৎশিল্পী বিজয় বেরা। দীর্ঘ সাত বছর ধরে মাটির তৈরি সামগ্রী বানিয়ে আসছেন। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিনি বদলেছেন নিজের কাজের ধরণ। আগে শুধু থালা-বাটি বানালেও এখন বাজারের চাহিদা অনুযায়ি জলের বোতল, গ্লাস, মগ সহ বাড়ির প্রয়োজনীয় যা যা দরকার সবটাই বানাচ্ছেন। তাঁর তৈরি মাটির সামগ্রী এখন স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে জেলার নানান প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে। ক্রেতাদের পছন্দ বুঝে নতুন নতুন ডিজাইন আনছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পর্যটকদের জন্য সুখবর! শীতের ভরা মরসুমে দিঘা স্পেশ্যাল এই লোকাল ট্রেনের সময়সীমা বাড়াল রেল
সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল দাম। মাটির তৈরি এই সামগ্রীর দাম শুরু হচ্ছে মাত্র ২০ টাকা থেকে। যেখানে প্লাস্টিকের জিনিস একদিকে ক্ষতিকারক, অন্যদিকে দামেও তুলনামূলক বেশি। সেখানে মাটির তৈরি সামগ্রী দামে বেশ সস্তা। তাই এই এলাকার মানুষ বাড়িতে প্লাস্টিক থাকলেই তা ফেলে দিয়ে মাটির তৈরি জিনিস কিনে নিচ্ছেন। এতে যেমন স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকছে, তেমনই উপকৃত হচ্ছেন স্থানীয় মৃৎশিল্পীরাও। পরিবেশ বাঁচাতে এবং দেশীয় শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মাটির তৈরি সামগ্রীই যে ভবিষ্যৎ, তা এখন স্পষ্ট ।





