বর্ধমান শহরের বাসিন্দা সর্বজিৎ যশ, বর্তমানে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগে অধ্যাপনার কাজ করেন তিনি। ছোট থেকেই ইতিহাস প্রতি তার আগ্রহ। ইতিহাস নিয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যাল থেকে মাস্টার অফ ফিলোসফি এবং ডক্টর অফ ফিলোসফি করেন তিনি। সেই সময়ই আরও দৃঢ় হয়ে যায় তাঁর জীবনের সঙ্গে ইতিহাসের বাঁধা। পরে ইতিহাস নিয়ে চর্চা করতে করতে লেখেন একাধিক বই। জমিদার আমল থেকে শুরু করে ব্রিটিশদের দেওয়া ‘রাজ’ উপাধি প্রাপ্তির বিবর্তন তাঁর প্রতিটি বই যেন এক একটি জীবন্ত ইতিহাস।
advertisement
আরও পড়ুন: অতি উৎসাহীদের সাময়িক আনন্দে ব্যাপক ক্ষতি পরিবেশের! জঙ্গলে আগুন বিপদে ফেলছে সকলকে
বর্ধমানের ইতিহাস নিয়ে পাঠ্যগ্রন্থ লিখেছেন পাঁচটি, গবেষণাগ্রন্থ লিখেছেন ২৪ টি। গবেষণা গ্রন্থগুলির মধ্যে নয়টি তাঁর স্বলিখিত এবং ১৫ টি তাঁর সম্পাদিত। এছাড়াও প্রায় ২০০টিরও বেশি প্রবন্ধ লিখেছেন ছোট বড় পত্রিকায়। পেয়েছেন নানা পুরস্কার ও সম্মান। বর্তমানে ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব চর্চা কেন্দ্রের সম্পাদক, বর্ধমান হেরিটেজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং দক্ষিণবঙ্গ সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তিনি। বর্তমানে বর্ধমান কোটের ইতিহাস নিয়ে কাজ করছেন তিনি। আজকের দ্রুতগতির যুগে তরুণ প্রজন্ম যখন নিজেদের ঐতিহ্য ভুলতে বসেছে, ঠিক তখনই সর্বজিৎ যশ নিয়েছেন এক কঠিন সংকল্প। তাঁর লক্ষ্য নতুন প্রজন্মের কাছে বর্ধমানের সঠিক ইতিহাস পৌঁছে দেওয়া।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ইতিহাসবিদ সর্বজিৎ যশ বলেন, “১৯৯৭ সালে এম.এ করার সময় সরকারের পক্ষ থেকে একটি পত্রিকা প্রকাশ করত সেখানে বর্ধমানের ইতিহাসের উপর একটি লেখা পড়ে আমারও আগ্রহ জাগে। পরবর্তীকালে বর্ধমান থেকে প্রকাশিত হাওয়া একটি পত্রিকাতে বর্ধমানের ইতিহাসের উপর আমাকে লিখতে বললে আমার আগ্রহ আরও বাড়ে ইতিহাসকে জানার। পরে বর্ধমানের ইতিহাসের উপর মাস্টার অফ ফিলোসফি করার সময় বর্ধমানের ইতিহাস নিয়ে লেখা শুরু করি। তারপর থেকেই একের পর এক গবেষনা সহ নানা গ্রন্থ লেখা।”
বর্তমানে বর্ধমান কোর্টের ইতিহাস নিয়ে নিবিড় গবেষণায় মগ্ন তিনি। আদালতের অলিন্দে লুকিয়ে থাকা বহু অজানা কাহিনী তিনি তুলে আনতে চান সাধারণের দরবারে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে তিনি কেবল একজন গবেষক বা অধ্যাপক নন বরং এক অতন্দ্র প্রহরী, যিনি বর্ধমানের স্বর্ণালী অতীতকে আগলে রাখছেন ভবিষ্যতের জন্য।





