রাজ্যে জুড়ে দূষণের মাত্রা যে বাড়ছে তা নিয়ে পরিবেশ কর্মীরা সরব হয়েছেন। দূষণ কী পরিমাণে হচ্ছে তা জানার জন্যই এবার ওই যন্ত্র বসানো হচ্ছে৷ ওই যন্ত্রের ডিসপ্লে বোর্ড থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে। ওই ডিসপ্লে বোর্ডে তাপমাত্রা, আদ্রতা, ধূলিকণা সবই দেখা যাবে। বাতাসে কত পরিমান দূষণ হচ্ছে তাও মাপা যাবে৷ নিয়মিত ওই ‘এয়ার অ্যাণ্ড নয়েজ’ মনিটরিং স্টেশন থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করবে। তাছাড়া শব্দ দূষণও মাপা যাবে। দূষণ বেড়ে গেলে তখন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
advertisement
আরও পড়ুন: সয়াবিন, ডিম, ডাল, ভাত…? ভুলে যান! মিড ডে মিলের মেনুতে এবার জিভে জল আনা ইলিশ
ওই যন্ত্র বসানোর জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে বরাতও দেওয়া হয়েছে।
পৌরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভা এলাকা ছাড়াও পুরো রাজ্য জুড়ে ৭১ পৌরসভা এলাকায় ওই যন্ত্র বসানো হচ্ছে। কাটোয়া, দাঁইহাট, গুসকরা, সহ অন্যান্য পৌরসভা গুলিতে বসানো হচ্ছে দূষণ মাপার যন্ত্র। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার চন্দ্রপুর কলেজেও তিন বছর আগে ওই যন্ত্র বসানো হয়েছে৷
চন্দ্রপুর কলেজের অধ্যক্ষ কার্তিক সামন্ত বলেন, ওই যন্ত্রের সাহায্যে আমরা এলাকার তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, কোন সময়ে তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটছে সবই দেখতে পাচ্ছি। প্রতি ছ’ মাস অন্তর ওই যন্ত্রের ডিস রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদে পাঠাতে হয়। গত দু’ বছরে চন্দ্রপুর এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েছে অনেকটাই৷ পাশাপাশি বাতাসে আর্দ্রতা ও বেড়েছে৷ আমরা সমীক্ষা করে দেখেছি পেট্রল চালিত গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে অনেক। পাশাপাশি নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে৷ প্রশাসন নিজেও বিনা নোটিসে গাছ কাটছে৷ যার ফলে তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবথেকে সুন্দর হাতের লেখা…! লেখা তো নয় যেন ছাপার অক্ষর, হার মানবে কম্পিউটার
চন্দ্রপুর কলেজ সংলগ্ন এলাকা সেখানেও দূষণের তারতম্য লক্ষ্য করা গিয়েছে। একটি স্টেশন থেকে ছ’ কিমি দূরত্ম পর্যন্ত দূষণ মাপা যাবে। জানা গেছে কাটোয়া পৌরসভার পাশে একটি জায়গাতে ওই যন্ত্র বসানো হবে। ইতিমধ্যেই পৌরসভায় ওই যন্ত্র বসানোর উপকরণ পাঠানো হয়েছে। দূষণের সর্বোচ্চ মাত্রা কত তা ডিসপ্লে আকারে প্রতিনিয়ত চলবে। সাধারণ তাপমাত্রার থেকে বেশি হলেই দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ পৌরসভাকে জানাবে।