এদিন গ্রামে ঘুরতে ঘুরতে দেখা গেল সেই ছবি, যেখানে রাস্তার পাশে একটি খামারে কাঠের ঢেঁকিতে চাল ঢেলে রাখা। ঢেঁকিতে এক নাগাড়ে পা দিয়ে চলছেন এক ব্যক্তি। আর মহিলারা চাল গুড়ি তুলে নিচ্ছেন সেখান থেকে। এভাবেই যেনো ঢেঁকির শব্দের তালের সঙ্গে মেতে উঠেছেন সকলে। (East Bardhaman News)
গ্রামের এক বধূ কাকলি ঘোষ বলেন, ৩কেজি চাল গুঁড়ো করেছেন তিনি। তাই দিয়ে পৌষ পার্বনে পিঠে বানিয়ে বাড়ির সকলে খাওয়াবেন। তিনি বলেন, বাজারে মেশিনের দ্বারা তৈরি চাল গুড়ি পাওয়া গেলেও ঢেঁকিতে গুঁড়ো করা চালের স্বাদ আলাদা। তাই কষ্ট হলেও তারা প্রতি বছর ঢেঁকিতেই চাল গুড়ি করেন।
advertisement
গ্রামের আরেক মহিলা কোলে বলেন, ঠাকুরমা ঠাকুরদাদের আমল থেকে চলে আসছে এই রীতি। তাই তাঁরা সেই রীতি মেনেই আজও ঢেঁকিতে চাল কোটেন। মেশিনের চাল গুড়ির থেকে ঢেঁকির চাল গুড়ি খেতে যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমন শরীরের পক্ষেও ভালো।
আধুনিকতার মোড়কে নিজেদের মুড়িয়ে ফেললেও, এখনও যে আমরা বাংলার ট্রেডিশন পুরোপুরি ভুলে যায়নি তা আবারও প্রমাণ করে দিল জামালপুরের কোড়া গ্রাম।
Malobika Biswas