এ বিষয়ে কালনা ও কাটোয়া মহুকুমা বন দফতরের আধিকারিক শিবপ্রসাদ সিনহা জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া তক্ষকটির চিকিৎসা করে অভয়ারণ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, ওষুধপত্রের পাশাপাশি মাদক তৈরিতে কাজে লাগে সরীসৃপ প্রজাতির পতঙ্গভুক প্রাণী তক্ষকের দেহাংশ। তক্ষকের বৈজ্ঞানিক নাম (Gekko gecko) গেকোনিডি গোত্রের একটি গিরগিটি প্রজাতি।
তক্ষকের সারা শরীরে থাকে লাল ও সাদাটে ধূসর ফোঁটা। পিঠের সাদাটে ফোঁটাগুলি পাশাপাশি ৭-৮টি সরু সারিতে ভাগ করা থাকে। কমবয়সী তক্ষকের লেজে পরপর গাড়-নীল ও প্রায় সাদা রঙের বলয় থাকে। মাথা অপেক্ষাকৃত বড়, নাকের ডগা চোখা ও ভোঁতা। চোখ বড় বড়। লেজ আছে। দৈর্ঘ্য নাকের ডগা থেকে পা পর্যন্ত ১৭ সেমি এবং লেজও প্রায় ততটা। তক্ষকের ডাক স্পষ্ট যা অনেক দূর থেকে শোনা যায়। কক্কক্ করে প্রথমে ডাকে তারপর ‘তক্-ক্কা’ বলে ডাকে কয়েক বার। এই ডাকের জন্য এই প্রাণীর নাম তক্ষক। এই প্রাণী মূলত কীটপতঙ্গ, ঘরের টিকটিকি ছোট পাখি ও ছোট সাপ খেয়ে থাকে। ছাদের পাশের ভাঙা ফাঁক-ফোঁকড় বা গর্তে অথবা গাছে বাস করে। তক্ষক দক্ষিণ এশিয়ায় বিপর্যস্ত একটি প্রাণী। বাংলাদেশসহ মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, লাওস, কাম্পুচিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চীন ও ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় ৬০০ প্রজাতির তক্ষকের বাস। বাংলাদেশে প্রায় দুই প্রজাতির তক্ষক দেখা যায়। এশিয়ান প্রাচীন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ও আধুনিক চিকিৎসাায় হাঁপানি, এইডস, ক্যান্সারের ওষুধ তৈরিতে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে।
advertisement
Malobika Biswas