সিআইডি সূত্রে খবর, যাঁর আধার কার্ড ও সই জাল করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে তার নাম ইয়াসউদ্দিন মল্লিক। তিনি খণ্ডঘোষ থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। গত ২১ এপ্রিল জনা চারেক লোক তার বাড়িতে যান। তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছে বলে তারা তাঁকে জানায়। তা শুনে আকাশ থেকে পড়েন ইয়াসউদ্দিন। বর্ধমানের কোনও ব্যাংকে তাঁর অ্যাকাউন্ট নেই বলে ইয়াসউদ্দিন তাদের জানিয়ে দেন। পরেরদিন ব্যাংকে এসে ইয়াসউদ্দিন খোঁজখবর নেন। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, তাঁর আধার কার্ড এবং সই জাল করে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে এবং তাতে লেনদেন করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অবিশ্বাস্য! অস্ত্রোপচারে রোগীর পেট থেকে বেরোল ২৫০ টি লোহার পেরেক!
তা জানার পরই বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ইয়াসউদ্দিন। বর্ধমান থানা প্রথমে তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীকালে তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। আর তদন্তে নেমে সিআইডি জানতে পারে, বর্ধমান থেকে অসমে লরিতে লোহা পাঠানো হচ্ছিল। মাঝপথে লোহা বোঝাই লরিটি গায়েব হয়ে যায়। লরি ভাড়া বাবদ নেওয়া টাকা ইয়াসউদ্দিনের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। লোহা গায়েব করার ঘটনায় সিআইডি তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুনঃ পূর্বস্থলীতে চলছে স্কুলড্রেস তৈরির কাজ, কাজ করছেন ১০০ জন মহিলা
লোহা গায়েব করে লরির নম্বর প্লেট ও রং বদল করে দেওয়া হয়। লরির মালিক ও হাসান সহ কয়েকজন ঘটনায় জড়িত বলে জানতে পারেন গোয়েন্দারা। লোহা গায়েবের মামলায় ধৃত তিনজনকেই সিআইডি হেফাজতে নিয়েছে। ফলে এই ঘটনায় মোট ৪টি মামলা হয়েছে। সব কটি মামলারই তদন্ত করছে সিআইডি।
Malobika Biswas