এখন আর আগের মতো সারিবদ্ধভাবে চেয়ারে বসে খাওয়াদাওয়া হয়না , যেখানে নিমন্ত্রিতদের তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার পরিবেশন করা হয়। সুতরাং তখনকার দিনে এতো খাবার নষ্ট হওয়ার খুব একটা বেশি সুযোগ থাকত না। আধুনিক যুগে ব্যাপারটা পুরো অন্যরকম হয়ে গেছে। এখন বেশিরভাগ বিয়ে বাড়িতেই বুফে সিস্টেম অনুসরণ করা হয় যেখানে দেশি বিদেশী খাবারের উপচে পড়া ভিড় আর অন্তহীন খাবারের তালিকা যে কাউকে বিভ্রান্ত করতে সক্ষম। একটা বিশাল পরিমান টাকা শুধু খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রেই খরচ করা হয়ে থাকে।
advertisement
নিমন্ত্রিতরা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাবারে থালা ভরে ফেলে। খাবার নষ্ট হওয়ার কথা তখন তারা ভাবেন না। খাবার শেষে অতিরিক্ত খাবার ফেলা যায় বর্জ্য হিসাবে।
আইএএস অফিসার অবনীশ শরণ তার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে এমনি একটি পাবলিক ইভেন্টে ফেলে দেওয়া খাবারের ছবি পোস্ট করেছেন যা ইন্টারনেটে ঝড় তুলেছে। টেবিলে রাখা অর্ধেক খাওয়া একটি প্লেটের ছবি পোস্ট করে তিনি খাবার অপচয় না করার জন্য মানুষকে সজাগ করতে চেয়েছেন। এই হৃদয়বিদারক ছবিটি পোস্ট করে তিনি ক্যাপশনে লিখেছেন "এই ধরনের লোকেদের যে কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে নিষেধ করা উচিত"। পোস্টটি এখানে দেখুন -
তিনি এই ক্ষেত্রে মানুষকে সজাগ হতে বলেছেন , যেটুকু খাবার প্রয়োজন সেটুকু নিয়ে খাবার নষ্ট করা বন্ধ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন। আমাদের দেশে বেশ কয়েক হাজার মানুষ যেখানে প্রতিদিন তিনবেলা পেট ভরে খেতে পারেনা , সেখানে এইভাবে বিয়ে বাড়িতে বা কোন পাবলিক ইভেন্টে খাবার নষ্ট সত্যি মর্মান্তিক।
মানুষের এর প্রতি সচেতনতায় তাদের মধ্যে খাবার নষ্ট করার প্রবণতাকে দূর করতে পারে। যেটুকু দরকার তার চেয়ে বেশি নিয়ে সেই খাবার পেতে যায় না বরং ডাস্টবিনে স্তূপাকৃতভাবে জমা হয়। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার নেওয়া উচিত তার বেশি না।
IAS অফিসারের এই পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়াতে মানুষের মনকে নাড়া দিয়েছে। ইউসাররা তাদের প্রতিক্রিয়া বিভিন্নভাবে ব্যক্ত করেছেন।
একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “ভারতে, দরিদ্র পরিবারগুলি অনাহারে রয়েছে কারণ তাদের খাবারের অ্যাক্সেস নেই, বেকাররা চাকরি বা সঠিক পুষ্টির অভাবে ভুগছে, যখন ধনীরা তাদের খাওয়া খাবার নষ্ট করছে। এটি ক্ষমার অযোগ্য একটি অপরাধ। সরকারের উচিত যারা এইসব কাজে যুক্ত তাদের শাস্তির জন্য পদক্ষেপ নেওয়া।”
