স্থানীয়দের মধ্যে বেশ কিছু মানুষ এই হাতকে ভূতের হাত কিংবা দানবের হাত বলে মনে করেন। আবার অনেকে এর থেকে গ্রামের কোন বিপদ হতে পারে বলেও মনে করতে শুরু করেন। এরপর খবর পাঠানো হয় বন দফতরের কাছে।
advertisement
এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা মাধবী বর্মন জানান, নদীর একেবারেই পাশে থাকার এই জঙ্গলের মধ্যে বহু মানুষ কুল ও ডালপালা কুড়োতে যান। হঠাৎ করেই সেই জঙ্গলের একটি গাছের মধ্যে থেকে একটি নখ যুক্ত হাত বেরিয়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপর গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এলাকার আরেক বাসিন্দা গীতা বর্মন জানান, জঙ্গলের গাছগুলিকে ইতিমধ্যেই বিক্রি করা হয়েছিল জঙ্গলের মালিক দ্বারা। তবে এই হাত দেখার পর গ্রামের কোন বিপদ হতে পারে ভেবে নেওয়া হয়। তাই রীতিমতো পুজোর আয়োজন করেছিলেন তাঁরা।
মেয়ে বড় হচ্ছে? এই ‘৫ জিনিস’ কন্যাকে না শেখালে…বাবা-মায়ের লজ্জার কারণ হতে পারে! ভবিষ্যৎ অন্ধকার
আরও পড়ুন- যখন তখন ‘বাতকর্ম’ করে ফেলেন? পেটে চাপ আসে গুরগুর করে…? এই ‘ছোট্ট’ জিনিসে চিরতরে মুক্তি!
এলাকায় বন্যপ্রাণ উদ্ধারকারী ও বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে পৌঁছে গোটা বিষয়টি ভাল মতন দেখেন। বন্যপ্রাণ উদ্ধারকারী অর্ধেন্দু বণিক জানান, গাছের থেকে বেরিয়ে থাকা হাত দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে ছিল গোটা এলাকায়। এমনটাই খবর আসে তাঁদের কাছে। তাঁরা সেখানে গিয়ে ড্রোন দিয়ে বিষয়টি ভাল করে দেখেন।
তার পর সেখান থেকে উদ্ধার হয় একটি প্রায় ২ ফুটের অপ্রাপ্তবয়স্ক বেঙ্গল মনিটর লিজার্ড। বন দফতরের কোচবিহার ডিভিশনের এডিএফও বিজন কুমার নাথ জানান,বেঙ্গল মনিটর লিজার্ডটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। এরপর প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর পুনরায় জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গ্রাম্য এলাকাগুলিতে এই ধরনের অন্ধবিশ্বাস কিংবা কুসংস্কার আজও রয়েছে। এই সকল বিষয় থেকে গ্রামের মানুষদের সচেতন করতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বন দফতর ও বন্যপ্রাণ উদ্ধারকারীরা একত্রে এই কাজ গুলি করে থাকেন প্রায়শই। তাই কোন জিনিস দেখলেই অযথা ভয় না পেয়ে। গোটা বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার জন্য জানানো হয় বন দফতরের পক্ষ থেকে।
Sarthak Pandit