যখন তখন 'বাতকর্ম' করে ফেলেন? পেটে চাপ আসে গুরগুর করে...? এই 'ছোট্ট' জিনিসে চিরতরে মুক্তি!

পেট ফাঁপা, গ্যাস এবং বাতকর্মের সমস্যা অনেকেরই হয়। হজমের সমস্যা আপাত ভাবে না থাকলেও যখন তখন বাতকর্মের বেগ আসার কারণে অনেকেই লজ্জায় পড়েন। কী ভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে এর হাত থেকে বাঁচবেন? জানলেই চিরতরে মুক্তি। আর লজ্জায় পড়তে হবে না।

পেটের গ্যাস মলদ্বার দিয়ে বেরিয়ে আসাকেই বাতকর্ম বলে। এটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার অংশ। তবে অতিরিক্ত বাতকর্ম নানা কারণে হতে পারে। কারণ জানলে সমাধানে সুবিধা হবে আপনারও।

খাদ্যাভ্যাস: খুব বেশি ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার, দুগ্ধজাতীয় খাবার বা অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খেলে বাতকর্ম বেড়ে যেতে পারে। খাদ্য হজমে সমস্যা: কোনও খাবার ঠিকমতো হজম না হলে তা অন্ত্রে গ্যাস তৈরি করে এবং বাতকর্মের কারণ হয়। অতিরিক্ত বাতাস গেলা: তাড়াহুড়ো করে খাওয়ার সময়, চুইংগাম চিবানোর ফলে বা খুব বেশি কোল্ড ড্রিংকস খেলে বেশি বাতাস পাকস্থলীতে প্রবেশ করে, যা গ্যাস তৈরি করে।

অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া: অন্ত্রে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলো খাবার ভাঙার সময় গ্যাস তৈরি করে, যা বাতকর্মের অন্যতম কারণ। অতিরিক্ত মানসিক চাপ:স্ট্রেস বা উদ্বেগের কারণে হজমপ্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে, যার ফলে বেশি বাতকর্ম হতে পারে।

পেটের গ্যাস ও ফাঁপা থেকে মুক্তি পেতে কিছু ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে। ১। জিরে-জল পান করুন: জিরে হজমশক্তি বাড়ায় ও গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। এক চামচ জিরে শুকনো খোলায় ভেজে এক কাপ গরম জলে মিশিয়ে ৫-৭ মিনিট রেখে ছেঁকে পান করুন।

২. আদা ও তুলসিপাতা: আদা ও তুলসিপাতা হজমের জন্য ভালো এবং গ্যাস কমায়। এক টুকরো আদা ও ৫-৬টি তুলসিপাতা ফুটন্ত জলে দিয়ে ১০ মিনিট রেখে ছেঁকে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৩. পর্যাপ্ত জল পান করুন: নিয়মিত পরিমাণমতো জল পান করলে অন্ত্রের কার্যক্ষমতা ঠিক থাকে এবং গ্যাসের সমস্যা কমে। ৪. হাঁটা ও ব্যায়াম: নিয়মিত হাঁটা ও শরীরচর্চা অন্ত্রের চলাচল ঠিক রাখে এবং গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।

৫. রসুন: খালি পেটে এক কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেলে হজমশক্তি বাড়ে ও গ্যাস কমে। ৬. খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন: খাবার ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাওয়া এবং অতিরিক্ত তেল-ঝালযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। পুদিনা-জল পান করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।

৭. ইসবগুল: ইসবগুল অন্ত্রের জল শোষণ করে জেল তৈরি করে, যা পেটের ফোলাভাব কমায়। এটি নিয়মিত খেলে হজমের সমস্যা কমে। এই ঘরোয়া উপায়গুলি অনুসরণ করলে পেটের গ্যাস ও ফাঁপা সমস্যার সমাধান হতে পারে। তবে সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

Disclaimer: এই প্রতিবেদন কেবলমাত্র তথ্যের জন্য। বিস্তারিত জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।