ছোটবেলা থেকে মেধাবী তুষার মাধ্যমিকে নবম স্থান অধিকার করেছিল। এবার উচ্চ মাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করায় খুশি জেলাবাসী। তুষারের বাবা পেশাগতভাবে একজন সবজি বিক্রেতা৷ তাই সংসারে অভাব নিত্যসঙ্গী। সেই অভাবকে হারিয়ে তাঁর এই সাফল্য খুশি করেছে সকলকে। আগামী দিনে সে বিজ্ঞানী হতে চায়।
কৃতী ছাত্র তুষার দেবনাথ জানায়, “মাধ্যমিকের পর থেকেই নিজের লক্ষ্যে স্থির ছিল সে৷ দরিদ্র পরিবারের ছেলে হওয়ায় অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে পড়াশোনা করতে হয়েছে। পড়াশুনার ফাঁকে বাবাকে মাঝে মধ্যে সহযোগিতা করত। তবে দিনে ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা পড়াশোনা করত স্কুল ও টিউশনের সময় বাদ দিয়েও। পড়াশোনা বাদে তাঁর ক্রিকেট খেলতে ভাল লাগে।”
advertisement
আরও পড়ুন- ভেজালের যুগে খাঁটি কাচ্চি ঘানি সর্ষের তেল! অসাধ্য সাধন নয়, গেলেই পেয়ে যাবেন এই জায়গায়
তুষারের বাবা তপন দেবনাথ জানান, “ছেলের সাফল্যে তিনি খুবই খুশি। আগামিদিনে ছেলের পাশে থাকবেন। তবে সবজি বিক্রি করে যা উপার্জন হয়, তা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়। ছেলের বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্নপূরণ কীভাবে করবেন, সেই চিন্তায় নিয়ে অস্থির তিনি।”
তুষারের মা অঞ্জনা দেবনাথ জানান, “মাধ্যমিকের পর ছেলের এত বড় সাফল্য ভাবতে পারিনি। তবে এই সাফল্যে তিনিও অনেকটা খুশি। তবে ছেলের ভবিষ্যতের পড়াশোনার খরচ নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তিনিও। সরকারি আর্থিক সহায়তা পেলে ভবিষ্যতের পড়াশোনায় অনেকটা সুবিধা হবে ছেলের।”
আরও পড়ুন- বাগান জুড়ে লাখ লাখ টাকার ফল, অবসর নিয়েই যা করলেন সেনা কর্মী, জানলে অবাক হবেন
বর্তমানে নিজের লক্ষ্যে অবিচল তুষার। আর্থিক বাধা বিপত্তি তাকে আটকাতে পারবে না। এমনটাই জানাচ্ছে সে। ভবিষ্যৎ দিনে বিজ্ঞানী হয়ে দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চায় তুষার।
Sarthak Pandit