কোচবিহার দুই নং কালীঘাট রোড এলাকার ফেরি ঘাটের নৌকার চালক ভুলু হোসেন জানান, প্রতি বছর ঘাটের টেন্ডার নেওয়া হয়। সেজন্য সারাটা বছর তারাই নৌকা চালিয়ে থাকেন। তবে বর্ষার সময় নদীর জল বাড়লে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। জল বেশি বেড়ে গেলে নৌকা বন্ধ রাখতে হয় কিছুটা সময়। আবার নৌকা চালানোর মত পরিস্থিতি হলে শুরু করা হয় খেয়া পারাপার। তবে বছরের অন্যান্য সময় সেরকম একটা সমস্যা হয় না। বর্ষার সময় নদীর জল বাড়লে পাড় ভেঙে যায় মাঝে মধ্যেই। তখন নদীর ঘাট তৈরি করতে হয় বারবার।
advertisement
নদী পারাপার করা এলাকার দুই স্থানীয় বাসিন্দা রাহুল আলি ও মনোজ রায় জানান, “কোচবিহারবাসীর একাংশই প্রায় অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে এই পথে চলাচল করতে। তবে এই ভাবে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার করার সময় বিপদের আশঙ্কা লেগেই থাকে। তাই সকলে চান যাতে এই নদী পারাপার করার জন্য আরও একটি বা দুটি বিকল্প সেতু তৈরি হয়। বর্তমানে একটি সেতু থাকার কারণে অনেকটা ঘুরে চলাফেরা করতে হয়। তাতে অনেকটাই সময় লেগে থাকে। তাই যদি একটি বিকল্প সেতু তৈরি হয় তোর্ষা নদীতে তবে খুবই সুবিধা হবে সকলের।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যদিও প্রতি বছরের মত এই বছরও এই পরিস্থিতি চলছে। নদীর জল বেড়ে ওঠার কারণে অনেকটা ঝুঁকি রয়েছে। তবুও খেয়াপার করতে এখানে আসছেন অনেক মানুষ। বর্ষার মরসুমে এই ঝুঁকি আরও অনেকটাই বেড়ে যায়।
Sarthak Pandit