আরও পড়ুন- ত্বকে ফুটে ওঠে কী কী লক্ষণ? রক্তে ‘চিনি’ বাড়লে নিজেই বুঝতে পারবেন…! আপনি কি ‘ডায়াবেটিক’?
শীতের মরসুমে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হয় স্কুল থেকে। এক্ষেত্রে এই রসিকবিল মিনি চিড়িয়াখানা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বর্তমানে বহু স্কুল থেকে এখানে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আসা হচ্ছে বন্যপ্রাণ সম্পর্কে জানাতে।
advertisement
এই চিড়িয়াখানায় স্কুল থেকে ঘুরতে আসা এক নবম শ্রেণীর ছাত্রী অনুষ্কা মজুমদার জানান, \”এই চিড়িয়াখানায় বন্য প্রানকে আরোও অনেকটাই কাছ থেকে দেখতে পেরেছেন তাঁরা। এছাড়া বন্য প্রাণের সর্ম্পকেও অনেকটাই তথ্য জানতে পেরেছেন তাঁরা। তাই এই চিড়িয়াখানায় আগামী দিনে আরোও বহু ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আসা হোক এমনটাই প্রত্যাশা তাঁর।\” স্কুলের টিচার ইনচার্জ গৌতম তালুকদার জানান, \”জেলার এই অন্যতম চিড়িয়াখানায় গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা বন্যপ্রাণ সর্ম্পকে অনেকটাই জানতে পারছে। তাই এই জায়গাটির গুরুত্ব রয়েছে জেলায় বেশ অনেকটা।\”
আরও পড়ুন- ঘরে রাখলে ‘এই কাঠ’ আজীবন মশার হাত থেকে রেহাই! গভীর ঘুমে তলাবেন…জেনে নিন ‘মোক্ষম’ ওষুধ!
জেলার এক পরিবেশ প্রেমী তমাল দাস জানান, \”বিভিন্ন পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে বন্যপ্রাণ সম্পর্কে শেখানো হয়। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের সরাসরি সামনাসামনি থেকে বন্যপ্রাণকে দেখিয়ে শেখানো এখানে খুব সহজেই সম্ভব। তাই এই চিড়িয়াখানায় আগামী দিনে আরোও বহু ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আসা উচিত। বর্তমানে জেলার এই চিড়িয়াখানায় ঘড়িয়াল, চিতাবাঘ, হরিণ, সাপেদের বিভিন্ন প্রজাতি এবং পাখির বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা অনেকটাই আনন্দিত হয় এসব দেখে। এবং এই সমস্ত বন্যপ্রাণীর সর্ম্পকে শিখতে আগ্রহী হয়ে ওঠে অনেকটা।\”
বর্তমান সময়ে জেলার বুকে এই একমাত্র চিড়িয়াখানা যেখানে ঘড়িয়াল প্রজনন কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বন্যপ্রাণ একেবারেই সামনে থেকে দেখা সম্ভব এখানে আসলে। তাই এই জায়গার গুরুত্ব জেলার বুকে রয়েছে বেশ অনেকটা। তাইতো আগামী দিনে এই জায়গাটি প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হোক বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে। এমনটাই প্রত্যাশা জেলার বহু মানুষের। এক্ষেত্রে জেলা বন দফতর ও বিভিন্ন পরিবেশ প্রেমী সংগঠন সবসময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।
সার্থক পণ্ডিত