পরিবেশপ্রেমী সুমন্ত সাহা জানান, বর্তমান সময়ে যে ভাবে গাছপালার গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে শহরের একেবারেই সংলগ্ন এই এলাকাটিকে শহরের ফুসফুস হিসাবে ধরা যেতেই পারে। বিস্তীর্ণ জঙ্গলে ঘেরা এই এলাকায় বিভিন্ন ধরনের জীববৈচিত্র্য রয়েছে। তবে শুধুমাত্র জঙ্গল নয়, তার পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে মরা তোর্ষা নদী। এই নদীর মধ্যেও প্রচুর পরিমাণে জীববৈচিত্র্য লক্ষ্য করতে পারা যায়। গরমের সময়ে কিছুটা শান্তির এবং স্বস্তির সময় কাটাতে চাইলে এই জায়গাটি আদর্শ। তবে সরকারিভাবে এই জায়গায় পিকনিক কিংবা বনভোজনের ব্যবস্থা বন্ধ করা হয়েছে। ফলে আগের তুলনায় এলাকাটি আরও অনেকটাই সুন্দর হয়ে উঠেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কুয়ো পরিষ্কার করতে নেমে আবারও দুর্ঘটনা, ২ যুবকের মৃত্যু
আরও পড়ুন: প্রাক্তনদের লড়াইয়ে জমজমাট বিষ্ণুপুর, হ্যাটট্রিক করতে পারবেন সৌমিত্র?
কোচবিহারের এক পশু উদ্ধারকারী অর্ধেন্দু বণিক জানান, কোচবিহারের এই শালবাগানে বিভিন্ন ধরনের সরীসৃপ প্রাণী রয়েছে। বিভিন্ন রূপ প্রজাতির সাপ এবং গিরগিটি এই এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া বহু প্রকার পাখি এখানে প্রায়শই চোখে পড়ে। দিনের আলোতে এই এলাকায় সোনালী শেয়াল বা গোল্ডেন জ্যাকেল ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। এছাড়া বন বিড়াল বা ওয়াইল্ড ক্যাট তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে বর্তমানের এই সময়ে এই এলাকাটিকে সংরক্ষণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। ভবিষ্যৎদিনে শহর সংলগ্ন এই এলাকাটি পর্যটকদের পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়াবে এটুকু নিশ্চিত। কোচবিহারের মানুষদের পাশাপাশি বাইরেরও বহু মানুষ সৌন্দর্যের টানে এই এলাকায় মাঝেমাঝেই ভিড় জমান। বর্তমান সময়ে শহর সংলগ্ন এই জঙ্গল ঘেরা এলাকা বহু মানুষদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সার্থক পণ্ডিত





