শাল ,সেগুন, মহুয়া সহ একাধিক গাছ এই ফরেস্টে গেলে দেখা যায়। কিন্তু আর দেখা যায় না মানুষের কোলাহল। কারণ একটাই, এখানে সরকার থেকে পিকনিক করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে এখানে বন্ধ পিকনিক। তবে তাও সত্ত্বেও তো জঙ্গলকে রক্ষা করতে হবে, গাছকে রক্ষা করতে হবে, সেই তাগিদে বন দফতরের প্রহরীরা এখন ভীষণ ব্যস্ত এই জঙ্গল দেখভাল করতে। এই জঙ্গলে নিযুক্ত বনদফতরের প্রহরী চৈতু কর্মকারকে দেখা গেল সেই ঘন জঙ্গলে ভরা জঙ্গলে গিয়ে কোন মানুষ এসে কোন অসামাজিক কার্যকলাপ করছে কিনা তা কড়া হাতে দেখভাল করতে। কেউ যদি কোন গাছ চুপিসারে কাটতে চায় তবে লাঠি হাতে তাদের তাড়া করেন কর্মকার বাবু। তার চিৎকার শুনে সকলে চমকে উঠে। ফরেস্টের ভিতরে কাউকে কোনরকম অসামাজিক কাজ করতে দেখলেই লাঠি হাতে দুইদন্ড বসিয়ে দেন চৈতু বাবু।
advertisement
আরও পড়ুন: শীতের রাতে খেলা দেখাবে নারকেল তেল! ধরে রাখবে যৌবন! জানতে হবে এই নিয়ম
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
চৈতু বাবু বলেন, তিনি এই বনের রাজা। তার সামনে কেউ কিছু করলে তিনি ছেড়ে কথা বলেন না। তার বক্তব্য কেউ যাতে কোন গাছ না কাটে, গাছের ডাল না কাটে, পাখি যাতে না মারে সেগুলো তাকে দেখভাল করতে হয় প্রতিদিনই। তিনি সাধারণ মানুষ, যারা এ ধরনের কান্ডকারখানাগুলো করতে চান তাদেরকে বুঝিয়ে বলেন গাছ কাটতে হয় না, গাছের ডাল কাটতে হয় না, গাছ কিন্তু কথা বলে। তিনি বলেন, ‘গাছ কখনোই কারো ক্ষতি করে না, গাছ উপকার করে। ক্ষতি করি আমরাই।’
পিয়া গুপ্তা






