TRENDING:

Hand-operated Loom: লাল, সাদা সুতোয় বোনা...‘বিহুরে লগন’ আসার আগেই অসমের গামছা তৈরির ব‍্যস্ততা বাংলায়! কোথায় তৈরি হয় জানেন?

Last Updated:

অসমের গামছা, তাঁতের শাড়ি ও মেখলা তৈরি করে থাকেন তাঁরা। চৈত্র মাসের শেষ এবং বৈশাখের শুরুর সময় অসমের গামছার চাহিদা বেড়ে ওঠে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কোচবিহার: বর্তমান সময়ে হাত দিয়ে চালানো তাঁত মেশিন খুব একটা চোখে পড়ে না। বেশিরভাগ জায়গায় যন্ত্রচালিত তাঁত মেশিন দেখতে পাওয়া যায়। তবে আজও জেলার বেশ কিছু এলাকার মানুষ। রুজি-রুটির সন্ধানে বাপ-দাদাদের এই পেশা আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন।
advertisement

ছরের বিভিন্ন সময় এই হাতের তাঁত মেশিন নিয়ে কর্মব্যস্ততা শুরু হয়ে যায় তাঁদের। অসমের গামছা, তাঁতের শাড়ি ও মেখলা তৈরি করে থাকেন তাঁরা। চৈত্র মাসের শেষ এবং বৈশাখের শুরুর সময় অসমের গামছার চাহিদা বেড়ে ওঠে। এই সময় অনেকটা চাপে থাকেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: নিজেই মহাকুম্ভের ভাইরাল মোনালিসাকে দিয়েছিলেন অভিনয়ের প্রস্তাব! ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার সেই পরিচালক

advertisement

তাঁতের এক শ্রমিক জ্যোতিন্দ্র রায় জানান, “দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ধরে তাঁত শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তিনি। যদিও বর্তমানে এই শ্রমিক প্রায় নেই বললেই চলে। এর মূল কারণ, হাতে চালান তাঁত মেশিনের খুব একটা দেখতে পাওয়া যায় না। তবে জেলায় এখনও এই মরসুমে হাতে চালান তাঁতের গামছার চাহিদা বাড়ে। এই সময় অসমে বিহু অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। সেজন্য প্রচুর চাহিদা থাকে এই গামছার। তাই চাহিদা পূরণ করতে তাঁরাও কাজ শুরু করেন। আজও হাতে টানা তাঁতের কাপড় বেশি পছন্দ করেন মানুষ।”

advertisement

আরেকজন শ্রমিক সঞ্জিত দে জানান, “তিনিও দীর্ঘ সময় ধরে এই বিষয়টি দেখছেন। প্রতি বছর ঠিক এই সময়ে এই গামছার চাহিদা বাড়ে। তাই তাঁদের কাজও বেড়ে ওঠে অনেকটা। ফলে কিছুটা বেশি রোজগারের মুখ দেখেন তাঁরাও। দীর্ঘ সময় ধরে এটা চলছে।”

আরও পড়ুন: ১ টাকাও খরচ নেই বিদ‍্যুতের, লোডশেডিংয়েও চিন্তা নেই, এসি-কুলার ছাড়াই ঘর থাকবে কনকনে ঠান্ডা! এখনই জানুন সেরা টিপস

advertisement

তাঁতের মালিক অপর্ণা দেবনাথ জানান, “এই গামছা গুলির একটি করে থানের মধ্যে মোট চারটি গামছা থাকে। আর এই এক একটি থান মোট ২২০ টাকায় বিক্রি করা হয় বাজারে পাইকারি দামে। এরপর গামছা পাইকারি কিনে নিয়ে অসমে পাঠিয়ে দেয় বিক্রির জন্য।”

আরও পড়ুন: এপ্রিলেই সম্পদের দাতা শুক্রের মার্গী! সোনালি দিন আসছে ৩ রাশির, টাকার বন‍্যা, ইনক্রিমেন্টের সঙ্গে প্রোমোশন

advertisement

বর্তমানে জেলার দিনহাটা, কোচবিহার সদর, নিশিগঞ্জ ও তুফানগঞ্জের বেশকিছু এলাকায় এই তাঁতের কাজ হয়ে থাকে। জেলার এই তাঁত শিল্পীদের তৈরি কাপড়ের অসমের বুকে বেশ অনেকটাই চাহিদা রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে এই কাজ করেই বহু মানুষ নিজেদের রুজি-রুটি জোগাড় করে আসছেন। তবে আধুনিকতার জন্য আগামী দিনে এই শ্রমিকদের অস্তিত্ব ধীরে ধীরে সংকটের মুখে পড়ছে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কালীপুজোর রাতে পুড়ে ছাই হয়ে গেল বাড়ি! বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ২ পরিবারের সর্বনাশ
আরও দেখুন

Sarthak Pandit

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Hand-operated Loom: লাল, সাদা সুতোয় বোনা...‘বিহুরে লগন’ আসার আগেই অসমের গামছা তৈরির ব‍্যস্ততা বাংলায়! কোথায় তৈরি হয় জানেন?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল