দুই পায়ে ঠিক মতন হাঁটতে পারেন না। তবুও মা বাবা শখ করে নাম রেখেছিলেন শক্তি। মা ও মেয়ের ছোট্ট সংসার। সেই সংসারের হাল ধরেছেন শক্তি নিজেই। কখনও মায়ের কোলে, আবার কখনও বাবার কোলে করেই স্কুলে যেতে হয়েছে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। পরবর্তী সময়ে লাঠির উপর ভর করে যাতায়াত শুরু করে শক্তি। দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময় সরকারি সাহায্যে একটি ট্রাই সাইকেল জুটেছিল কপালে। তারপর থেকে সেই সাইকেলে চেপে বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে যাতায়াত করত।
advertisement
আরও পড়ুন : এবারের উচ্চমাধ্যমিক একেবারে অন্যরকম! নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি দেখে হতবাক পড়ুয়ারা! কী করতে হবে জানা আছে তো?
কিন্তু নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তাঁর মনের জোরকে দমিয়ে দিতে পারেনি কেউ। শারীরিক ১০০ শতাংশ বিশেষভাবে সক্ষম হয়েও অসম লড়াই করে স্নাতকস্তরে পাস করেছেন শক্তি। বাবা মারা যাওয়ার পর তাদের ছোট্ট চায়ের দোকানটাও বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সংসারের খরচ সামলাতে সিদ্ধান্ত নেন বিউটিশিয়ান কোর্স করে সংসারের হাল ধরবেন। কিন্তু বিশেষভাবে সক্ষম এমন মেয়ের কাছে কেউ সাজতে আসবে কি? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল শক্তির মনে। এরপর একাধিক জায়গায় বিউটিশিয়ানের কোর্স করতে গিয়ে কটুক্তি শুনতে হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবুও হার মানেন নি কখনও। সেই প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে বর্তমানে শক্তি সফল বিউটিশিয়ান। এলাকায় কোনও বিয়েবাড়ি কিংবা যে কোন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানেই তাঁর ডাক পরে। বর্তমানে সফলভাবে চলছে তাঁর বিউটিশিয়ানের ব্যবসা। পরিশেষে বলা যেতেই পারে, যেকোনও প্রতিবন্ধকতা জীবনকে থামিয়ে দিতে পারে না। যা প্রমাণ করেছেন গ্রামীন মেয়ে শক্তি।