বাজারেও মাদুরের চাহিদার অভাবে এই পেশা ছেড়ে মাদুর শিল্পীরা আজ অন্য পেশায় ঢুকে পড়ছেন৷ অথচ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বেশ কিছু এলাকার মানুষ অল্প কিছু জমিতে এই গাছের চাষ করে, আজও মাদুর শিল্পকে কেন্দ্র করেই পেট চালাচ্ছেন৷ তবে মাদুর শিল্পীদের অভিমান, প্রাচীন এই শিল্পকে বাঁচাতে প্রশাসনের তরফেও মিলছে না কোনও সাহায্য৷
advertisement
আরও পড়ুন: ভরসা নেই কোনও রাজনৈতিক দলেই! নির্দল হয়েই প্রার্থী দিল গোটা গ্রাম
মাদুর শিল্পীদের পক্ষ থেকে জানা যায়, মাদুর তৈরির মূল উপকরণ ‘পাতি ঘাস’ পূর্ণাঙ্গ রূপ পেতে প্রায় ছয় থেকে সাত মাস সময় লাগে।দীর্ঘ সময় লাগার কারণে বহু পাতি চাষীরা এখন এই চাষ বাদ দিয়ে সাধারণ ধান পাট চাষ শুরু করেছে। ফলে এখন এই ঘাস পাওয়া কষ্টসাধ্য।কয়েক বছর আগেও এ অঞ্চলে প্রচুর কৃষক পাতি ঘাস চাষ করতো। তবে চাহিদা কম হওয়ার কারণে পাতি ঘাসের চাষও কমে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের মুখেই ভাঙন তৃণমূলে! মালদহে শাসকদলকে বড় ধাক্কা বিজেপির
চাষিরা এখন পাতি ঘাসের চাষ করতে চায় না। একটি মাদুর তৈরি করতে সাড়ে চারশ’ থেকে পাঁচশ’ টাকা খরচ হয়। বিক্রি হয় ছয়শ’ টাকায়। লাভ কম হওয়া ও বাজারে হাতে তৈরি মাদুরের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে জমিতে খুব অল্প পরিমাণ এই ঘাস চাষ করছেন।
মাদুর শিল্পের বিলুপ্তির কারণ হিসেবে জানা যায়, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা নেই, প্রধান উপকরণ পাতি ঘাসের অভাব। যারা এখনও মাদুর তৈরি করছেন, কাঁচামাল সংকট এবং বাজারে সঠিক দাম না পাওয়ায় তারাও এ পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে জেলার ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্পটি অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
সুস্মিতা গোস্বামী