TRENDING:

South Dinajpur News : মাদুর শিল্প চরম সংকটে! পাতি ঘাসের অভাবেই আগ্রহ হারাচ্ছে শিল্পীরা

Last Updated:

বাজারে মাদুরের চাহিদার অভাবে এই পেশা ছেড়ে মাদুর শিল্পীরা আজ অন্য পেশায় ঢুকে পড়ছেন৷ অথচ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বেশ কিছু এলাকার মানুষ অল্প কিছু জমিতে এই গাছের চাষ করে, আজও মাদুর শিল্পকে কেন্দ্র করেই পেট চালাচ্ছেন৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দক্ষিণ দিনাজপুর: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অনেকটাই পরিবর্তন ঘটেছে। বাজারে চলে এসেছে অত্যাধুনিক মানের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।এর ফলে হাতে বোনা মাদুরের চল আর খুব একটা নেই ৷ বেশ কয়েক বছর আগেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার বহু পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হতো হাতে তৈরি মাদুর বিক্রি করে।অবাক করা বিষয় হচ্ছে, বাজারে মাদুরের চাহিদার অভাবে এখন গ্রামগুলিতে এ কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি পরিবার।
advertisement

বাজারেও মাদুরের চাহিদার অভাবে এই পেশা ছেড়ে মাদুর শিল্পীরা আজ অন্য পেশায় ঢুকে পড়ছেন৷ অথচ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বেশ কিছু এলাকার মানুষ অল্প কিছু জমিতে এই গাছের চাষ করে, আজও মাদুর শিল্পকে কেন্দ্র করেই পেট চালাচ্ছেন৷ তবে মাদুর শিল্পীদের অভিমান, প্রাচীন এই শিল্পকে বাঁচাতে প্রশাসনের তরফেও মিলছে না কোনও সাহায্য৷

advertisement

আরও পড়ুন: ভরসা নেই কোনও রাজনৈতিক দলেই! নির্দল হয়েই প্রার্থী দিল গোটা গ্রাম

মাদুর শিল্পীদের পক্ষ থেকে জানা যায়, মাদুর তৈরির মূল উপকরণ ‘পাতি ঘাস’ পূর্ণাঙ্গ রূপ পেতে প্রায় ছয় থেকে সাত মাস সময় লাগে।দীর্ঘ সময় লাগার কারণে বহু পাতি চাষীরা এখন এই চাষ বাদ দিয়ে সাধারণ ধান পাট চাষ শুরু করেছে। ফলে এখন এই ঘাস পাওয়া কষ্টসাধ্য।কয়েক বছর আগেও এ অঞ্চলে প্রচুর কৃষক পাতি ঘাস চাষ করতো। তবে চাহিদা কম হওয়ার কারণে পাতি ঘাসের চাষও কমে গিয়েছে।

advertisement

View More

আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের মুখেই ভাঙন তৃণমূলে! মালদহে শাসকদলকে বড় ধাক্কা বিজেপির

চাষিরা এখন পাতি ঘাসের চাষ করতে চায় না। একটি মাদুর তৈরি করতে সাড়ে চারশ’ থেকে পাঁচশ’ টাকা খরচ হয়। বিক্রি হয় ছয়শ’ টাকায়। লাভ কম হওয়া ও বাজারে হাতে তৈরি মাদুরের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে জমিতে খুব অল্প পরিমাণ এই ঘাস চাষ করছেন।

advertisement

মাদুর শিল্পের বিলুপ্তির কারণ হিসেবে জানা যায়, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা নেই, প্রধান উপকরণ পাতি ঘাসের অভাব। যারা এখনও মাদুর তৈরি করছেন, কাঁচামাল সংকট এবং বাজারে সঠিক দাম না পাওয়ায় তারাও এ পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে জেলার ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্পটি অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
এ যেন 'মেঘভাঙা' বৃষ্টি! হাসিমারায় পরিস্থিতি খারাপ, 'লাল চোখ' দেখাচ্ছে তোর্ষা
আরও দেখুন

সুস্মিতা গোস্বামী

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
South Dinajpur News : মাদুর শিল্প চরম সংকটে! পাতি ঘাসের অভাবেই আগ্রহ হারাচ্ছে শিল্পীরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল