মঙ্গলবার কোচবিহারের ৮ জন শ্রমিক এবং তাদের সঙ্গে এক শিশুকে নিয়ে গাড়িটি নেপালের দিকে যাচ্ছিল। স্থানীয়দের প্রাথমিক বক্তব্য ও পুলিশের অনুমান, কোয়ার্টার মোড়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরিকে সজোরে ধাক্কা মেরে নিয়ন্ত্রণ হারায় গাড়িটি। এরপর সেটি সোজা নয়ানজুলিতে গিয়ে পড়ে।
advertisement
বিকট শব্দে এলাকায় ছুটে আসেন স্থানীয় মানুষজন। দ্রুত উদ্ধার কাজে নামেন সকলে। কিছুক্ষণের মধ্যেই নকশালবাড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশু-সহ মোট ৯ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন শ্রমিকদের সর্দার রসিদ মিঞা। আহতদের প্রথমে নকশালবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অধিকাংশকে সেখান থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। লরি কেন দাঁড়িয়ে ছিল, গাড়িটি কত গতিতে চলছিল, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে নকশালবাড়ি থানার সূত্রে খবর। হঠাৎ এই দুর্ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই দুর্ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দিল যে, সড়কে এক মুহূর্তের অসাবধানতাই বড় বিপদের কারণ হতে পারে। তদন্তের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। এলাকাবাসীদের দাবি, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে ওই রুটে নজরদারি ও নিরাপত্তা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন স্থানীয়রা।






