Wild Boar Menace: সন্ধে নামতেই জমিতে দাপাদাপি! বিঘার পর বিঘা ফসল খেয়ে সাবাড়, বুনো শুয়োরের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ ভরতপুরের চাষিরা

Last Updated:
Murshidabad Wild Boar Menace: মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুরে বুনো শুয়োরের তাণ্ডব। বিঘার পর বিঘা জমির ফসল নষ্ট করছে। আলু, সর্ষে, গম, বাঁধাকপি, ছোলা কোন কিছুই বাদ যাচ্ছে না। সর্বস্বান্ত হওয়ার আশঙ্কায় দিন রাত এক করে পাহারা দিচ্ছেন চাষিরা।
1/7
একদিকে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা, অন্যদিকে বুনো শুয়োরের উপদ্রব। এই দু'য়ের সাঁড়াশি চাপে নাজেহাল ভরতপুরের চাষিরা। রাতের অন্ধকারে মাঠে নেমে বিঘার পর বিঘা জমির শীতকালীন ফসল সাবাড় করছে বুনো শুয়োরের দল। (ছবি ও তথ্য: তন্ময় মন্ডল)
একদিকে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা, অন্যদিকে বুনো শুয়োরের উপদ্রব। এই দু'য়ের সাঁড়াশি চাপে নাজেহাল ভরতপুরের চাষিরা। রাতের অন্ধকারে মাঠে নেমে বিঘার পর বিঘা জমির শীতকালীন ফসল সাবাড় করছে বুনো শুয়োরের দল। (ছবি ও তথ্য: তন্ময় মন্ডল)
advertisement
2/7
আলু, সর্ষে, গম, বাঁধাকপি থেকে শুরু করে ছোলা বাদ যায়নি কিছুই। সর্বস্বান্ত হওয়ার আশঙ্কায় এখন দিনের বেলাতেও লাঠি হাতে নিজেদের জমি পাহারা দিতে বাধ্য হচ্ছেন আতঙ্কিত কৃষকরা। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর ১ ব্লকের ছত্তরপুরের কাছে কুয়ের নদীর সন্দেশকুড়া মাঠের।
আলু, সর্ষে, গম, বাঁধাকপি থেকে শুরু করে ছোলা বাদ যায়নি কিছুই। সর্বস্বান্ত হওয়ার আশঙ্কায় এখন দিনের বেলাতেও লাঠি হাতে নিজেদের জমি পাহারা দিতে বাধ্য হচ্ছেন আতঙ্কিত কৃষকরা। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর ১ ব্লকের ছত্তরপুরের কাছে কুয়ের নদীর সন্দেশকুড়া মাঠের।
advertisement
3/7
প্রতি বছরই এই উর্বর জমিতে প্রচুর পরিমাণে শীতকালীন ফসল ফলান স্থানীয় চাষিরা। এবছরও প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে আলুর পাশাপাশি লাগানো হয়েছে সর্ষে, গম, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও মটরশুঁটির মতো অর্থকরী ফসল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে এখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ।
প্রতি বছরই এই উর্বর জমিতে প্রচুর পরিমাণে শীতকালীন ফসল ফলান স্থানীয় চাষিরা। এবছরও প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে আলুর পাশাপাশি লাগানো হয়েছে সর্ষে, গম, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও মটরশুঁটির মতো অর্থকরী ফসল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে এখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ।
advertisement
4/7
চাষিদের অভিযোগ, অন্তত আটটি বুনো শুয়োরের একটি দল সন্ধ্যায় নদী সংলগ্ন জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে মাঠে তাণ্ডব চালাচ্ছে। কয়েক বিঘা আলুর জমি একেবারে নষ্ট করে দিয়েছে শুয়োরের পাল। ফুল ও বাঁধাকপির ক্ষেতে নেমে মুড়িয়ে খেয়েছে ফসল। গম, সর্ষে, ছোলা ও মটরের মতো শস্যও রক্ষা পায়নি।
চাষিদের অভিযোগ, অন্তত আটটি বুনো শুয়োরের একটি দল সন্ধ্যায় নদী সংলগ্ন জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে মাঠে তাণ্ডব চালাচ্ছে। কয়েক বিঘা আলুর জমি একেবারে নষ্ট করে দিয়েছে শুয়োরের পাল। ফুল ও বাঁধাকপির ক্ষেতে নেমে মুড়িয়ে খেয়েছে ফসল। গম, সর্ষে, ছোলা ও মটরের মতো শস্যও রক্ষা পায়নি।
advertisement
5/7
স্থানীয় কৃষক ত্রিলোক মণ্ডল জানান, গত বছরও শুয়োর তাণ্ডব চালিয়েছিল। কিন্তু এবার যেন অত্যাচারের মাত্রা আরও বেশি। দিনের বেলাতেই মাঠের পাশে কুয়ে নদীর চরের ছোট দুটি জঙ্গলে ওরা লুকিয়ে থাকছে বলে মনে হচ্ছে। ফসল বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন কৃষকরা। ভয়ে ভয়েই এখন তাদের দিন কাটছে। সন্ধ্যা নামলেই শুরু হচ্ছে উপদ্রব, আর সেই কারণে রাত জেগে পাহারা দিতে হচ্ছে। তবে এবার দিনের বেলাতেও তারা নিশ্চিন্ত নন।
স্থানীয় কৃষক ত্রিলোক মণ্ডল জানান, গত বছরও শুয়োর তাণ্ডব চালিয়েছিল। কিন্তু এবার যেন অত্যাচারের মাত্রা আরও বেশি। দিনের বেলাতেই মাঠের পাশে কুয়ে নদীর চরের ছোট দুটি জঙ্গলে ওরা লুকিয়ে থাকছে বলে মনে হচ্ছে। ফসল বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন কৃষকরা। ভয়ে ভয়েই এখন তাদের দিন কাটছে। সন্ধ্যা নামলেই শুরু হচ্ছে উপদ্রব, আর সেই কারণে রাত জেগে পাহারা দিতে হচ্ছে। তবে এবার দিনের বেলাতেও তারা নিশ্চিন্ত নন।
advertisement
6/7
আরেক চাষি হাফিজুল সেখের কথায়, যদি কোনওভাবে এই ফসল নষ্ট হয়ে যায়, তবে সারা বছর কী খাব, কী দিয়ে ঋণ শোধ করব? ব্যাপক ফসলহানির এই ঘটনা বন দফতরেও জানানো হয়েছে।
আরেক চাষি হাফিজুল সেখের কথায়, যদি কোনওভাবে এই ফসল নষ্ট হয়ে যায়, তবে সারা বছর কী খাব, কী দিয়ে ঋণ শোধ করব? ব্যাপক ফসলহানির এই ঘটনা বন দফতরেও জানানো হয়েছে।
advertisement
7/7
বন দফতরের কান্দি রেঞ্জ অফিসার আনন্দ বিশ্বাস জানিয়েছেন, ঘটনার কথা জানতে পেরেছি। আমাদের একটি দল দ্রুত সেখানে পাঠানো হচ্ছে। তবে এই এলাকায় বুনো শুয়োর থাকার কথা নয়। আমরা খতিয়ে দেখছি, এটি বুনো শুয়োর নাকি অন্য কোনও বন্যপ্রাণী। বন দফতরের দ্রুত পদক্ষেপের দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছেন ভরতপুরের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
বন দফতরের কান্দি রেঞ্জ অফিসার আনন্দ বিশ্বাস জানিয়েছেন, "ঘটনার কথা জানতে পেরেছি। আমাদের একটি দল দ্রুত সেখানে পাঠানো হচ্ছে। তবে এই এলাকায় বুনো শুয়োর থাকার কথা নয়। আমরা খতিয়ে দেখছি, এটি বুনো শুয়োর নাকি অন্য কোনও বন্যপ্রাণী। বন দফতরের দ্রুত পদক্ষেপের দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছেন ভরতপুরের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। (ছবি ও তথ্য: তন্ময় মন্ডল)
advertisement
advertisement
advertisement