তবে তার অসহায় অবস্থার কথা এলাকাবাসীরা চুপচাপ মেনে নেননি। স্থানীয় বাসিন্দা ও পঞ্চায়েত সদস্যরা একাধিকবার জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের বিডিও মিহির কর্মকারের কাছে আবেদন করেন, যাতে শান্তি মন্ডল আবাস যোজনার সুবিধা পান। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিডিও নিজে শান্তিদেবীর বাড়িতে যান, তার সঙ্গে কথা বলেন, এলাকাবাসীর বক্তব্য শোনেন এবং দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। অবশেষে, রাজ্য আবাস যোজনার তালিকায় উঠে এসেছে শান্তি মন্ডলের নাম। শুধু তাই নয়, তার রেশন কার্ড সহ প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি সংশোধনের ব্যবস্থাও করেছেন বিডিও মিহির কর্মকার।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে তার ঘর তৈরির কাজ। প্রশাসনের এমন ভূমিকার জন্য খুশি স্থানীয় মানুষও। শান্তি মন্ডল বলেন, “এতদিন ছেলেকে নিয়ে কত কষ্ট করেছি, এবার হয়ত মাথার ওপর একটা নিরাপদ ছাদ পাব।” স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “লোকাল ১৮ প্রথম তার বিষয়ে খবর করেছিল, এরপরই প্রশাসন এগিয়ে আসে।” এখন সকলের একটাই আশা—শান্তি মন্ডলের নতুন ঘর যেন দ্রুত তৈরি হয়ে যায়, যাতে আর কষ্টে দিন কাটাতে না হয় তাকে।
সুরজিৎ দে





