যিনি পেশায় ডাক্তার হলেও, মনে প্রাণে ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রশাসক হয়ে সোনামুখী বাঁকুড়া, বর্ধমান সামলাতেন ডক্টর জে এন চিক বা চিক সাহেব। ডাক্তার হয়ে এলেও, তিনি বুঝেছিলেন সোনামুখীতে রয়েছে রেশম, গালা এবং অত্যন্ত লাভজনক নীল চাষের সম্ভাবনা। তখন থেকে এই কুঠিতে শুরু হয় নীল চাষের কারবার। চিক সাহেব, আবার কেউ কেউ অপভ্রংশ করে বলতেন চিফ সাহেব। স্থানীয় ইতিহাসবিদদের মতে চিক সাহেব ছিলেন যথেষ্ট ধুরন্ধর।

advertisement

আরও পড়ুন : যক্ষ্মা রোগ নির্ণয় হবে আরও সহজ, উন্নত প্রযুক্তির মেশিন বসল পাঁশকুড়া হাসপাতালে! একসঙ্গে চার রিপোর্ট

সোনামুখীকে মুখ্য নিশানা করে শুরু করেছিলেন তুমুল ব্যবসা আর লাভ। কুঠি করে ব্যবসা, বিশেষ করে রেশম, গালা এবং নীল! তিনটেই করতেন তিনি। ব্যবসার বিরাট লাভের প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠে বিরাট বাড়ি এবং প্রসার। বাঁকুড়া শহরেও ছিল তার কুঠি। একেই বলে ছুঁচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বের হওয়া। প্রশাসক হয়ে এসেছিলেন একজন ডাক্তার। তারপর সোনামুখীর বয়ন শিল্পে হাত জমান তিনি। এরপর গালা, অবশেষে চাষিদের ওপর থাবা বসান নীল চাষের মাধ্যমে। ব্যবসার প্রসার ঘটেছিল বিরাট।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেই কারণে ইলামবাজারে এই পুরো বিজনেস মডেল তুলে নিয়ে যান তিনি। ইতিহাসবিদদের মতে চিক সাহেবের অত্যাচারী হওয়ার কথা খুব একটা জানা যায়নি। ধুরন্ধর এই সাহেব শুধুই বুঝতেন কী ভাবে ব্যবসায় মুনাফা করতে হয়। সেই কারণে একজন ডাক্তার হয়েও বাঁকুড়ার সোনামুখীর মাটি থেকে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করে করেছেন প্রচুর মুনাফা। যদিও তৎকালীন সময়ের এই প্রশাসক ডাক্তারের কথা অনেকের কাছেই অজানা।

advertisement