সূত্র অনুযায়ী, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও ডুয়ার্স অঞ্চলের ৫৬ জন যুবতীকে জানানো হয়েছিল, তাদের বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে, তাদের তোলা হয় পাটনাগামী ক্যাপিটাল এক্সপ্রেসে, যার গন্তব্য বিহার! যুবতীদের কাছে কোনও ট্রেন টিকিট ছিল না, বরং কেবল কোচ ও বার্থ নম্বরের সিল মেরে দেওয়া হয়েছিল প্রত্যেকের হাতে।
advertisement
এদিন রাত ৯টা নাগাদ, এনজেপি স্টেশনে তল্লাশি চালানোর সময় একসঙ্গে এতজন যুবতীকে দেখে জিআরপি ও আরপিএফ কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়, শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। প্রশ্নে ধরা পড়ে অসঙ্গতি। যুবতীরা জানায়, কলকাতার জিতেন্দ্র পাশওয়ান ও শিলিগুড়ির চন্দ্রিকা নামের এক মহিলা তাদের নিয়ে যাচ্ছিলেন। তৎক্ষণাৎ এই দু’জনকে স্টেশন থেকেই আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে একাধিক অসামঞ্জস্য ধরা পড়ে। তারা কোনও বৈধ নথি দেখাতে পারেননি, যেখানে প্রমাণিত হয় যে ওই যুবতীদের সত্যিই বেঙ্গালুরুতে কাজ দেওয়া হচ্ছে।
এই ঘটনাকে ঘিরে মানব পাচার চক্রের জড়িত থাকার প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কাজের নামে যুবতীদের বিহারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, অথচ জানানো হয়েছিল বেঙ্গালুরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে জিআরপি ও আরপিএফ-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কলকাতার জিতেন্দ্র ও শিলিগুড়ির চন্দ্রিকাকে জেরা চলছে দফায় দফায়। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে যদি পাচার চক্রের যোগসূত্র মেলে, তাহলে এই চক্রের পেছনে থাকা মূল পাণ্ডাদেরও দ্রুত হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করা হবে।
ঋত্বিক ভট্টাচার্য