ফেসবুকে ‘স্টক মার্কেট লার্নিং’ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন চোখে পড়েছিল তাঁর। বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার পরেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয় রাজীব নামের এক ব্যক্তির। ওই ব্যক্তি তাঁকে বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়ে নিজের সহকারী তন্বী দেশপান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন। এরপরেই হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনের পর তন্বী ওই শিক্ষককে ‘প্রেমজি ইনভেস্টমেন্ট ইক্যুইটি ফান্ড’-এ বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন। একটি নির্দিষ্ট মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলতে বলেন।
advertisement
অনলাইন বিনিয়োগের প্রলোভনে পড়ে এরপরেই প্রতারকদের কথায় আস্থা রেখে জাকির সরকার মোবাইল অ্যাপটি ডাউনলোড করেন। এরপর ধাপে ধাপে বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে তিনি প্রায় সাড়ে ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন। পরবর্তীতে তাঁর অ্যাকাউন্টে প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা ব্যালেন্স দেখানো হয়। তখন তাঁকে জানানো হয়, তিনি একটি আইপিও পেয়েছেন যার মূল্য প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা। তবে সেই টাকা পেতে আরও টাকা জমা করতে হবে তাঁকে। এরপরই ওই শিক্ষকের হুঁশ ফেরে এবং বুঝতে পারেন তিনি তাঁর অতি লোভের কারণে প্রতারিত হয়েছেন। এরপর তাঁর সন্দেহ হওয়ায় তিনি দক্ষিণ দিনাজপুর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে ডিএসপি হেডকোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ জানান, “আমরা সর্বদা সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সচেতনতা সভা, জেলার ও রাজ্যের পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া পেজের মাধ্যমে নিয়মিত সতর্কবার্তা প্রচার করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতারিত হলে কী করণীয় সে বিষয়েও দিকনির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।” যদিও প্রতারিত শিক্ষক জাকির সরকার এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কিছু বলতে চাননি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।