রেশম শিল্পে মন খারাপ করা ছবি! পরিকল্পনার অভাবে গবাদিপশুদের জন্য বিক্রি করতে হচ্ছে তুঁতপাতা
- Published by:Madhab Das
- hyperlocal
- Reported by:Jiam Momin
Last Updated:
তুঁতপাতা বোঝাই করে বিক্রি হচ্ছে অল্প দরে। গরু ও ছাগল পালনকারীরাই এখন এই পাতার প্রধান ক্রেতা। একসময় সমগ্র রাজ্যে মালদহ জেলা রেশম চাষের জন্য বিখ্যাত ছিল।
advertisement
1/7

একসময় রেশমের ঘ্রাণে ভরা ছিল সমগ্র মালদহ জেলা। জেলার অন্যতম অর্থনৈতিক অবস্থা নির্ভরশীল ছিল এই চাষকে ঘিরে। তবে এবারে সেই রেশম চাষে ব্যবহৃত তুঁতপাতা বিক্রি হচ্ছে গরুর খাবার হিসেবে। যে তুঁতপাতা একসময় রেশম পলুর একমাত্র খাদ্য ছিল, সেই তুঁতপাতাই গবাদিপশুর খাবার হিসেবে বিক্রি হচ্ছে কালিয়াচকের বিভিন্ন বাজারে। (ছবি ও তথ্য: জিএম মোমিন)
advertisement
2/7
তুঁতপাতা বোঝাই করে বিক্রি হচ্ছে অল্প দরে। গরু ও ছাগল পালনকারীরাই এখন এই পাতার প্রধান ক্রেতা। একসময় সমগ্র রাজ্যে মালদহ জেলা রেশম চাষের জন্য বিখ্যাত ছিল। 'রেশমের মালদহ' নামেই পরিচিত ছিল এই জেলা। কালিয়াচকের তিনটি ব্লক ছিল রেশম চাষের মূল কেন্দ্র। এছাড়াও গাজোল, চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর ইত্যাদি ব্লক এলাকায় ব্যাপক পরিমাণে দেখা মিলত রেশম চাষ।
advertisement
3/7
গঙ্গা অববাহিকার উর্বর জমিতে সারি সারি তুঁতগাছ এই দৃশ্যই ছিল একসময়ের বাস্তব চিত্র। প্রতিটি ঘর থেকেই উঠত রেশম গুটির মিষ্টি গন্ধ, প্রতিটি পরিবারই ব্যস্ত থাকত তুঁতপাতা সংগ্রহ ও রেশম পলু পালনে। তবে এখন সেই চিত্র অনেকটাই অতীত। কালিয়াচক এলাকায় হাতেগোনা কয়েকটি পরিবারই এখন এই চাষের সঙ্গে যুক্ত।
advertisement
4/7
স্থানীয় চাষি নুরজাহান শেখ বলেন, “একসময় বছরে চারবার পলু পালন করতাম। এখন আর সেই উৎসাহ নেই। রেশম গুটির দাম পাই না, খরচ বেশি তাই বাধ্য হয়ে তুঁতপাতা গরুর খাবার হিসেবে বিক্রি করি।”
advertisement
5/7
রেশম চাষের অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে উৎপাদনের তুলনায় বাজারে ন্যায্য দাম না পাওয়া। চাষিরা জানাচ্ছেন, পলু পালনে প্রচুর পরিশ্রম ও যত্নের প্রয়োজন, কিন্তু বিনিময়ে উপযুক্ত লাভ না পাওয়ায় ধীরে ধীরে চাষিরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন এই রেশম চাষ থেকে।
advertisement
6/7
শুধু তাই নয় তুঁত জমিগুলোতেও ঘটছে পরিবর্তন। অনেকেই তুঁতের বিকল্পে আম, লিচু বা অন্যান্য বাণিজ্যিক ফসলের চাষ শুরু করেছেন বেশি লাভের আশায়। তাই বর্তমানে তুঁতপাতার ব্যবহারে দেখা দিচ্ছে এমন অপ্রয়োজনীয় পরিবর্তন।
advertisement
7/7
তবে এখনও কিছু মানুষ আছেন যারা পূর্বপুরুষের এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে মরিয়া। তাদেরই প্রচেষ্টায় এখনও কিছু ঘরে পলু পালন হয়, কিছু তুঁতগাছ এখনও সবুজ হয়ে আছে স্মৃতির মতো। তাঁরা আশাবাদী যদি সরকারি উদ্যোগ ও প্রণোদনা পাওয়া যায়, তাহলে আবারও মালদহ জেলার সেই পুরনো ঐতিহ্য ‘রেশম চাষ’ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। (ছবি ও তথ্য: জিএম মোমিন)