উত্তরবঙ্গের কনজারভেটর অফ ফরেস্ট জানিয়েছেন, পূর্বের সাধারণ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে অনুমান করা হয়, দুই উদ্যানে প্রায় ৩৭-৩৮টি রেড পান্ডা বিচরণ করে। কিন্তু এবার সেই অনুমান ছাড়িয়ে আরও নির্ভুল তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের একাধিক বিশেষজ্ঞ সংস্থার সহায়তায় ডিএনএ-ভিত্তিক পদ্ধতিতে এই গণনা করা হবে।
advertisement
এতে শুধু রেড পান্ডার সংখ্যা নির্ধারণই নয়, তাদের স্বাস্থ্য ও বাস্তুতন্ত্রের অবস্থাও স্পষ্টভাবে জানা যাবে। উল্লেখ্য, নেওড়া ভ্যালি ও সিঙ্গালিলা—পূর্ব ভারতের জৈব বৈচিত্র্যের অন্যতম ভাণ্ডার। ১৬০০ থেকে ২৭০০ মিটার উচ্চতার এই অঞ্চল বন, হিমালয়ান ফ্লোরা ও ফনার জন্য বিখ্যাত।
আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীর নিয়ে ঠিক বলেছিলেন জিন্নাহ..,’ কোন পুরনো কথা তুললেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ?
রেড পান্ডার মতো সংবেদনশীল প্রজাতির টিকে থাকার জন্য এই বনভূমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই উদ্যোগ শুধু বন দফতরের নয়, পরিবেশপ্রেমীদের কাছেও এক বড় আশার আলো। সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে রেড পান্ডার সংরক্ষণের কৌশল আরও বাস্তবমুখী ও কার্যকর হবে, এমনটাই আশা সকলের। কারণ, প্রকৃতির এক ছোট্ট প্রতিনিধি রেড পান্ডা। রেড পান্ডাকে টিকিয়ে রাখাই প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার এক বড় পদক্ষেপ।