TRENDING:

ধানের সরকারি সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আরও সুখবর! বিক্রির আগে খুশির হাওয়া কৃষকমহলে, জলপাইগুড়িতে কয়েকগুণ

Last Updated:

ধানের ফলন হয়েছে, তা এখন বিক্রি করতে চাইছেন? ভুলেও এই কাজ করবেন না। ফড়েদের কাছে বিক্রি করলেই হবে লস! কিন্তু এখানে বিক্রয় করলে মিলবে একদম সঠিক ন্যায্য মূল্য।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
জলপাইগুড়ি, সুরজিৎ দে: ধানের ফলন হয়েছে, তা এখন বিক্রি করতে চাইছেন? ভুলেও এই কাজ করবেন না। ফড়েদের কাছে বিক্রি করলেই হবে লস! কিন্তু এখানে বিক্রয় করলে মিলবে একদম সঠিক ন্যায্য মূল্য। বাড়ি থেকে নিয়ে গেলে মিলবে আরও বাড়তি টাকা। প্রত্যেক জেলার মতোই জলপাইগুড়ি জেলাতেও রয়েছে সরকারী ধান বিক্রয় কেন্দ্র। কত টাকা করে পাবেন, কটা বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে জানুন বিস্তারিত।
advertisement

বর্ষার তাণ্ডব কাটিয়ে শীতের হাওয়া বইছে ঠিকই, কিন্তু তিস্তার অতিরিক্ত জলের ক্ষত এখনও শুকোয়নি জলপাইগুড়ির চাষিদের জীবনে। নদীর স্রোতে ধান নষ্ট হওয়ায় এবছর অনেক পরিবারেই ফলন কম। সোনালি ফসল হাতে এলেও কৃষকদের মুখে ফুটছে না স্বস্তির হাসি। কারণ ফড়েদের কাছে বিক্রি করলে দাম কম। আবার বাজারে সঠিক মূল্য মিলবে কি না, সে চিন্তাও কম নয়। আর এইসব চিন্তার অবসান ঘটাতেই সব সময় পাশে রয়েছে প্রশাসন।

advertisement

আরও পড়ুন: বিশালাকৃতির পাতা, সইতে পারে ১৫ কেজি ওজন, বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত! দক্ষিণ আমেরিকার সেই জলজ উদ্ভিদ এবার দেখা যাবে বর্ধমানে

View More

তাই এই অবস্থায় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। জলপাইগুড়ি জেলায় মোট ৯৬টি সরকারি ধান বিক্রয় কেন্দ্র চালু রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে একাধিক স্বনির্ভর গোষ্ঠী পরিচালিত কেন্দ্রও এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রতি কুইন্টাল ধানের সরকারি দাম ২৩৬৯ টাকা। যদি কৃষক নিজের বাড়ি থেকে ধান পৌঁছে দেন, তবে মিলবে অতিরিক্ত ২০ টাকা। এমনটা যায় দিয়েছেন খাদ্য দফতর আধিকারিক। এই কারণে প্রশাসন কৃষকদের সতর্ক করে বলছে, “ফড়েদের কাছে ভুলেও ধান বিক্রি করবেন না। সরকারি কেন্দ্রেই মিলবে ন্যায্য মূল্য।”

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

তিস্তার জলে ভেসে যাওয়া জমি, কালো হয়ে যাওয়া ধান আর কমে যাওয়া ফলনের ধাক্কায় এখনও দিশেহারা কৃষক পরিবারগুলি। কেউ বলছেন, “আগে যেখানে ৮–৯ মণ ধান পেতাম, এবার পাচ্ছি পাঁচ মণও না। রঙ বদলে গেছে, মানও নেই।” তবু যতটুকু ধান বেঁচেছে, তা নিয়ে এখন চলছে ঝাড়াই-বাছাই। গ্রামের উঠোনে, দাওয়ায়, মাঠের ধারে সারাদিনের শব্দ—ধান ঝালাইয়ের। কারণ শীতের দিনগুলিতে সেই অল্প ধানই হবে তাঁদের ভরসা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
রসে টইটুম্বুর 'রসগোল্লা'...! বাঙালির প্রিয় 'মিষ্টি' এবার ২০ দুর্ধর্ষ স্বাদে, জানুন ঠিকানা!
আরও দেখুন

প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এবছর ধান বিক্রির তালিকায় নাম নথিভুক্ত করেছেন প্রায় ৫২ হাজার কৃষক, যা আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। অর্থাৎ কৃষকেরা এবার সরকারি ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখছেন। দীর্ঘ ক্ষতির পর কৃষকদের মুখে একটু হলেও আশার আলো ফুটছে। সরকারের ন্যায্য মূল্য প্রকল্প তাঁদের কঠিন বছরে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে এটাই এখন তাঁদের একমাত্র ভরসা!

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
ধানের সরকারি সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আরও সুখবর! বিক্রির আগে খুশির হাওয়া কৃষকমহলে, জলপাইগুড়িতে কয়েকগুণ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল