বর্তমানে ক্রোশজুড়িতে প্রাচীন যুগের বহু জৈন ও বৌদ্ধ মূর্তির অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়। এসব মূর্তি স্থানীয় মানুষজনের উদ্যোগে ছোট ছোট মন্দির নির্মাণ করে সংরক্ষণ করা হয়েছে। কালের প্রবাহে মূর্তিগুলি বিভিন্ন হিন্দু দেবদেবীর রূপে পূজিত হয়ে আসছে, যা এই অঞ্চলে ধর্মীয় সমন্বয় ও সাংস্কৃতিক রূপান্তরের এক গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত তুলে ধরে।
সোনাথলি এলাকার প্রাক্তন স্কুল শিক্ষক ও গবেষক সিদ্ধেশ্বর দে -এর মতে, “একসময় এই অঞ্চলে মান রাজাদের শাসন প্রতিষ্ঠিত ছিল। সেই শাসনকালেই ক্রোশজুড়ির এই ধর্মীয় মূর্তিগুলির সৃষ্টি হয় বলে ধারণা করা হয়। মূর্তিগুলি তৎকালীন সমাজের ধর্মীয় বিশ্বাস, শিল্পরুচি এবং সাংস্কৃতিক চর্চার স্পষ্ট সাক্ষ্য বহন করে।”
advertisement
তবে ক্রোশজুড়ির প্রত্নক্ষেত্র নিয়ে প্রত্নতত্ত্ববিদ ও মন্দির বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এখনও মতভেদ রয়েছে। কারও মতে এই প্রত্নক্ষেত্রের উৎপত্তি পঞ্চম শতাব্দীতে, আবার কেউ একে অষ্টম শতাব্দীর নিদর্শন বলে মনে করেন। অন্য একাংশের গবেষকদের ধারণা, এটি দ্বাদশ শতকের প্রত্নস্থল। এই ভিন্নমতই ক্রোশজুড়িকে আরও রহস্যময় ও গবেষণার দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। ইতিহাসের গভীরে লুকিয়ে থাকা এই ক্রোশজুড়ি আজও গবেষক ও ইতিহাস অনুরাগীদের কাছে এক আকর্ষণীয় ও মূল্যবান অধ্যায় হয়ে রয়েছে।





