আম চাষি টুনটুন সাহা বলেন, “এই গাছের আম সম্পূর্ণভাবে জৈবিক পদ্ধতিতে পরিচর্যার মধ্য দিয়ে ফলে। তাই ব্যাপক চাহিদা এই আমের। জেলাশাসকের দাবিতে এই আম জেলার সৃষ্টি শ্রী আম মেলায় অক্সিজেন আম হিসেবে প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছিল। এবং দিল্লির আম মেলাতেও এই আম গিয়েছিল। সেখানে একটি আম ৫০০ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে। উৎসাহ পেলে আগামীতে আরও এই প্রজাতির আমগাছ লাগাব বলে জানান এই কৃষক।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘রস’ বদলে গেছে চকোলেটে! মুখে দিলেই মিলিয়ে যাবে, ছোট-বড় সকলের প্রিয় চকোকদম্ব
এই আম প্রসঙ্গে মালদহ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের আধিকারিক ডক্টর দুষন্ত রাঘব জানান, “যেকোনও জিনিসকে নিজের ইচ্ছেমত নামে ডাকার সকলের স্বাধীনতা রয়েছে। তেমনি ভাবে অজানা কোন প্রজাতির আমকে অক্সিজেন নাম দেওয়াটাও স্বাভাবিক। তবে যদিও সেই আমটি কেন অক্সিজেন বলা হচ্ছে তার একাধিক যুক্তি থাকতে পারে। যদিও তার স্বাদ এবং গুণগতমান আমাদের কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে পরীক্ষার পরেই আমরা নির্ধারণ করতে পারব। আগামীতে সেই আম চাষির সঙ্গে আমরা সাক্ষাৎ করে সেই আম সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করব। তবে ব্যক্তিগত চর্চার ক্ষেত্রে আমের নাম দেওয়া স্বাভাবিক বিষয়।”
আমরা জানি বিশ্বের প্রান্তে বিভিন্ন রকম প্রজাতির আম চাষ হয়। হাজার প্রজাতির আম রয়েছে যাদের নানা নাম দিয়ে ডাকা হয়। তবে নাম না থাকলেও স্বাদের উপর ভিত্তি করে অনেক সময় আমের নাম রাখা হয়। সেইমত মালদহের এই আম চাষি এই আমের নাম দিয়েছেন অক্সিজেন। আগামীতে এই আমের নাম সরকারিভাবে মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চাষি টুনটুন সাহা।
জিএম মোমিন