প্রায় ১০ বছর ধরে নিজের ৩০ শতক জমিতে জৈব পদ্ধতিতে পটল চাষ করছেন চাষি পরিমল মন্ডল। বাগানের উপযোগী সবজির মান ভাল রাখতে নিচ্ছেন বাড়তি পরিচর্যা। পটল বিক্রিতে লাভের আশা করছেন কয়েকগুণ। তাঁর বাগান দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্থানীয় অনেক কৃষক জৈব পদ্ধতিতে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ইতিমধ্যেই তাঁরা তাঁদের নিজস্ব জমিতে পটল চাষ শুরু করেছেন। বাজারদর যদি ভাল থাকে, তাহলে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা উপার্জন করবেন বলে আশা করছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
advertisement
এই বিষয়ে পটল চাষি পরিমল মন্ডল জানান, প্রথম অবস্থায় জৈব পদ্ধতিতে চাষ করতে গিয়ে তেমন লাভের মুখ না দেখলেও হাল ছাড়েননি তিনি। জৈব উপায়ে জমি তৈরি করে চাষের উপযোগী করে তোলেন এই কৃষক। পটল বেশ খরা সহিষ্ণু। জল নিষ্কাশনের সুবিধা আছে এমন উঁচু জমি এবং বেলে দো-আঁশ বা দো-আঁশ মাটি পটলের চাষাবাদের জন্য উপযোগী। লতানো প্রকৃতির উদ্ভিদ হওয়ায় মাচা দিলে ফলন বেশি হওয়ার পাশাপাশি রোগবালাইয়ের আক্রমণ অনেক কম হয়। বর্তমানে পটলের দাম কেজি প্রতি ৪০-৪৫ টাকা। একদিকে চাষ করে তিনি নিজে যেমন লাভের মুখ দেখছেন, তেমনই স্থানীয় কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের দিশাও দেখাচ্ছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে গঙ্গাসাগর গ্রামে গেলে দেখা যাবে, পরিমলবাবুর দেখাদেখি প্রায় ২০-২৫ জন কৃষক জৈব চাষের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। মাচা করে তাঁরা সবাই পটল চাষ করছেন। জৈব পদ্ধতিতে পটল চাষ করে খরচের চেয়ে বিক্রির লাভের পরিমাণটা যথেষ্ট পাওয়া যায়। তাই গ্রীষ্মকালীন এই সবজির চাষ বারোমাস করা হচ্ছে। পাশাপাশি ভাল মুনাফাও মিলছে।





