Vegetable Cultivation: সবজি চাষে ক্ষতির ভয় অতীত! ভারী বৃষ্টিতেও চিন্তা নেই, ফসল বাঁচানোর টিপস দিলেন কৃষক সম্মান প্রাপ্ত কৃষি বিশেষজ্ঞ

Last Updated:
Vegetable Cultivation: মন্থার প্রভাবে বৃষ্টির জেরে শীতকালীন সবজি চাষ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কৃষকদের। ভারী বৃষ্টির হাত থেকে শীতকালীন সবজি চাষ কীভাবে বাঁচাবেন? টিপস দিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষক সম্মান প্রাপ্ত কৃষি বিশেষজ্ঞ।
1/6
ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’র প্রভাবে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী দিঘা, কাঁথি, এগরা ও পটাশপুরে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার বৃষ্টিপাত তুলনামূলকভাবে কম থাকলেও বুধবার টানা বৃষ্টিতে চিন্তায় পড়েন কৃষকেরা। উপকূলীয় এলাকার সবজি উৎপাদন এলাকা এগরা ও পটাশপুরের সবজি চাষিদের আশঙ্কা, ভারী বৃষ্টির জেরে তাঁদের শীতকালীন সবজি চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। (ছবি ও তথ্যঃ মদন মাইতি)
ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’র প্রভাবে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী দিঘা, কাঁথি, এগরা ও পটাশপুরে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার বৃষ্টিপাত তুলনামূলকভাবে কম থাকলেও বুধবার টানা বৃষ্টিতে চিন্তায় পড়েন কৃষকেরা। উপকূলীয় এলাকার সবজি উৎপাদন এলাকা এগরা ও পটাশপুরের সবজি চাষিদের আশঙ্কা, ভারী বৃষ্টির জেরে তাঁদের শীতকালীন সবজি চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। (ছবি ও তথ্যঃ মদন মাইতি)
advertisement
2/6
ঘূর্ণিঝড় মন্থা সরাসরি বাংলায় আছড়ে না পড়লেও এর পরোক্ষ প্রভাবে বুধবার সকাল থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে প্রবল বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়। এই অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন উপকূলীয় এলাকার সবজি চাষিরা। দুর্যোগ কাটিয়ে পটাশপুর দু’নম্বর ও এগরা এলাকার কৃষকেরা ফুলকপি, বাঁধাকপি, ধনেপাতা, টমেটোর মতো শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ের বৃষ্টিতে তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
ঘূর্ণিঝড় মন্থা সরাসরি বাংলায় আছড়ে না পড়লেও এর পরোক্ষ প্রভাবে বুধবার সকাল থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে প্রবল বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়। এই অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন উপকূলীয় এলাকার সবজি চাষিরা। দুর্যোগ কাটিয়ে পটাশপুর দু’নম্বর ও এগরা এলাকার কৃষকেরা ফুলকপি, বাঁধাকপি, ধনেপাতা, টমেটোর মতো শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ের বৃষ্টিতে তাঁদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
advertisement
3/6
চাষিদের আশঙ্কা, টানা বৃষ্টিতে মাটিতে জল জমে থাকলে গাছের শিকড় ও গোড়া পচে যেতে পারে। দীর্ঘক্ষণ ভিজে থাকার ফলে গাছের পাতার ক্লোরোফিল নষ্ট হয়ে পাতা পচনের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষে ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটতে পারে বলে ধারণা। কৃষকদের দাবি, এই অবস্থায় ফসলের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেলে বাজারে সবজির যোগানেও প্রভাব পড়তে পারে।
চাষিদের আশঙ্কা, টানা বৃষ্টিতে মাটিতে জল জমে থাকলে গাছের শিকড় ও গোড়া পচে যেতে পারে। দীর্ঘক্ষণ ভিজে থাকার ফলে গাছের পাতার ক্লোরোফিল নষ্ট হয়ে পাতা পচনের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষে ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটতে পারে বলে ধারণা। কৃষকদের দাবি, এই অবস্থায় ফসলের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেলে বাজারে সবজির যোগানেও প্রভাব পড়তে পারে।
advertisement
4/6
জেলা উদ্যানপালন দফতরের তথ্য অনুযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুরে প্রতি বছর ৩৪.৪৬ হাজার মেট্রিক টন ফুলকপি, ৩৪.৩৮ হাজার মেট্রিক টন বাঁধাকপি, ২০.৭২ হাজার মেট্রিক টন টমেটো, ১৯.৩২ হাজার মেট্রিক টন মুলো, ৪.৮৩ হাজার মেট্রিক টন বিনস এবং ১০.১৯ হাজার মেট্রিক টন গাজর উৎপাদন হয়। তবে এবার টানা বৃষ্টির কারণে এই উৎপাদনে বড়সড় ধাক্কা লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
জেলা উদ্যানপালন দফতরের তথ্য অনুযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুরে প্রতি বছর ৩৪.৪৬ হাজার মেট্রিক টন ফুলকপি, ৩৪.৩৮ হাজার মেট্রিক টন বাঁধাকপি, ২০.৭২ হাজার মেট্রিক টন টমেটো, ১৯.৩২ হাজার মেট্রিক টন মুলো, ৪.৮৩ হাজার মেট্রিক টন বিনস এবং ১০.১৯ হাজার মেট্রিক টন গাজর উৎপাদন হয়। তবে এবার টানা বৃষ্টির কারণে এই উৎপাদনে বড়সড় ধাক্কা লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
advertisement
5/6
পটাশপুরের এক সবজি চাষি জগন্নাথ মাইতি বলেন, “আমি ধারদেনা করে বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো ও ধনেপাতা চাষ করেছি। কিন্তু ভারী বৃষ্টির ফলে জমিতে জল জমে গাছের গোড়া পচে যাচ্ছে। এত বড় জমিতে জল নিকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। কয়েকদিন এমন বৃষ্টি চললে সমস্ত গাছ নষ্ট হয়ে যাবে। মন্থার এই বৃষ্টি আমাদের বছরের পরিশ্রম এক মুহূর্তে নষ্ট করে দিল।”
পটাশপুরের এক সবজি চাষি জগন্নাথ মাইতি বলেন, “আমি ধারদেনা করে বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো ও ধনেপাতা চাষ করেছি। কিন্তু ভারী বৃষ্টির ফলে জমিতে জল জমে গাছের গোড়া পচে যাচ্ছে। এত বড় জমিতে জল নিকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। কয়েকদিন এমন বৃষ্টি চললে সমস্ত গাছ নষ্ট হয়ে যাবে। মন্থার এই বৃষ্টি আমাদের বছরের পরিশ্রম এক মুহূর্তে নষ্ট করে দিল।”
advertisement
6/6
এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষক সম্মান প্রাপ্ত এগরার কৃষি বিশেষজ্ঞ মাদল পাল বলেন, “ভারী বৃষ্টির হাত থেকে শীতকালীন সবজি চাষকে বাঁচাতে হলে প্রথমে জমির নিকাশ ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে। বৃষ্টির পরপরই ছত্রাকনাশক স্প্রে করা জরুরি। এছাড়া জমিতে জৈব সার প্রয়োগ করলে মাটির গুণমান বজায় থাকে ও শিকড় পচন রোধ হয়। এই ব্যবস্থা নিলে ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কমানো সম্ভব এবং গাছ নতুন করে বেড়ে ওঠার সুযোগ পায়।” (ছবি ও তথ্যঃ মদন মাইতি)
এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষক সম্মান প্রাপ্ত এগরার কৃষি বিশেষজ্ঞ মাদল পাল বলেন, “ভারী বৃষ্টির হাত থেকে শীতকালীন সবজি চাষকে বাঁচাতে হলে প্রথমে জমির নিকাশ ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে। বৃষ্টির পরপরই ছত্রাকনাশক স্প্রে করা জরুরি। এছাড়া জমিতে জৈব সার প্রয়োগ করলে মাটির গুণমান বজায় থাকে ও শিকড় পচন রোধ হয়। এই ব্যবস্থা নিলে ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কমানো সম্ভব এবং গাছ নতুন করে বেড়ে ওঠার সুযোগ পায়।” (ছবি ও তথ্যঃ মদন মাইতি)
advertisement
advertisement
advertisement