বন্ধ রয়েছে সাফারির অনলাইন বুকিং, যায় কারণে সমস্যায় পড়ছেন পর্যটকেরা। ফলে এই ভরা পর্যটন মরশুমেও পর্যটকদের দেখা মিলছে না চিলাপাতায়। একই ছবি কোদালবস্তি এলাকাতেও। তিন শিফটে সাফারি হয় এখানে। সকাল, দুপুর এবং বিকেল। সমস্ত অনুমতিপত্র কাউন্টার থেকে সঠিক সময়ে সংগ্রহ করতে হচ্ছে পর্যটকদের। পর্যটককে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হচ্ছে অনুমতিপত্র সংগ্রহ করার সময়। এক্ষেত্রে কোনওরকম এজেন্টের মাধ্যমে অনুমতিপত্র সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। যা পর্যটন ব্যবসায়ীদের কাছে একটি বড় সমস্যা।
advertisement
আরও পড়ুন: নিজের পছন্দ মতো চা তৈরি করে পান করুন! সুযোগ দিচ্ছে এই চা বাগান
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে কোনও একজন পর্যটক জিপসি সাফারির জন্য সর্বোচ্চ ছয়টি এবং হাতি সাফারির জন্য সর্বোচ্চ চারটি অনুমতিপত্র সংগ্রহ করাতে পারবেন। পাশাপাশি অনুমতিপত্র সংগ্রহ করার সময় সকলের আসল সচিত্র পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে অনুমতিপত্র প্রদান করা হবে। নির্ধারিত সময়ের পর কোনোরকম অনুমতি পাওয়া যাবে না। জিপসি গাড়ির ভাড়া এবং গাইডের ভাড়া বন দফতরের কাউন্টারে জমা নেওয়া হবে না এবং সেই ভাড়া সংক্রান্ত রসিদ পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট গাইড এবং জিপসি গাড়ির ড্রাইভারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
পর্যটন স্থলে এসেই লাইনে দাঁড়িয়ে সাফারির টিকিট কাটতে হচ্ছে পর্যটকদের। বাড়ছে হয়রানি। সকাল ছয়টার সাফারির জন্য ভোর সাড়ে চারটা থেকে পর্যটকদের লাইন পড়ছে কাউন্টারের সামনে। এ বিষয়ে পর্যটন ব্যবসায়ী গণেশ কুমার শা জানান, “পূর্বে অনলাইনে বুকিং করে অনায়াসে চিলাপাতা, কোদালবস্তিতে এসে সাফারি করতে পারতেন পর্যটকেরা। সাফারির টাকা কম করবার দাবি ছিল আমাদের। তবে বর্তমানে পুরো পর্যটনই পরিকল্পনাহীন হয়ে গিয়েছে।” চিলাপাতা ও কোদালবস্তি দুটি জায়গা মিলিয়ে মোট ১৩টি গাড়ি রয়েছে, ফলে অনেক পর্যটকই লাইনে দাঁড়ানোর পরে টিকিট না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন বলে জানা যায়। আর এর প্রভাবই পড়েছে পর্যটন ব্যবসায় বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।
Annanya Dey





