ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ি অভিমুখে আসার সময় অভিযুক্তকে আটক করা হয়। তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ছয়টি সোনার বিস্কুট এবং দুটি সোনার টুকরো। প্রাথমিকভাবে উদ্ধার হওয়া সোনার মোট ওজন প্রায় ৮১২ গ্রাম বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মানের স্বীকৃতি পেতে চলেছেন পুরুলিয়ার শিক্ষক! কেন এমন অ্যাওয়ার্ড! জানলে গর্বে বুক ভরবে
advertisement
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া ওই সোনার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। ধারণা করা হচ্ছে, সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে অবৈধ পথে সোনা এনে তা শিলিগুড়ি বা পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল মোজাফফর। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিআরআই কর্মকর্তারা জানার চেষ্টা করছেন, সে কার কাছ থেকে এই সোনার বিস্কুট সংগ্রহ করেছিল এবং কার কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। গোটা পাচারচক্রের সঙ্গে আর কারা যুক্ত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বৃহস্পতিবার ধৃতকে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া সোনার বাজারমূল্য এক কোটি টাকার নিচে হওয়ায় বিচারক অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেছেন। তবে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, মোজাফফরের ওপর নজরদারি বজায় থাকবে। ডিপার্টমেন্ট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে উত্তরবঙ্গের সীমান্ত এলাকা দিয়ে সোনার পাচার বাড়ছে। এই ঘটনার মাধ্যমে একটি বড় চক্রের সূত্র মিলতে পারে বলে মনে করছে সংস্থা। তদন্তের স্বার্থে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।






