নদীটির গর্ভে রয়েছে বড় ছোট আকৃতির নুড়ি পাথর আর বোল্ডার। আর এটিই মূর্তি নদীকে আরও আকর্ষিত করে তুলেছে। কিন্তু মূর্তি নদীর উপরে যে ব্রিজ রয়েছে সেই ব্রিজের দশা বেহাল। যে কারণে পর্যটকদের যাতায়াতে খানিক ব্যাঘাত ঘটে।
আরও পড়ুন- সরকারি প্রকল্পের শৌচালয়! তবে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে রয়েছে! ক্ষোভ স্থানীয়দের
advertisement
তবে পর্যটনপ্রেমীদের জন্য রয়েছে সুখবর।আগামী দেড় বছরের মধ্যেই মুর্তি সেতু সংস্কারের কাজ শেষ করা হবে।সেতুটি মজবুত, চওড়া করার পাশাপাশি পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে সেতুটির সৌন্দর্যায়নও করা হবে।
শুক্রবার মুর্তি সেতু পরিদর্শনে আসেন পূর্ত বিভাগের আধিকারিকরা। পিডাবলুডি রোডস জলপাইগুড়ি হাইওয়ে ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অজয় সিং, মালবাজার ডিভিশনের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার কৌশিক ঘোষ সহ অন্যান্য আধিকারিকরা এদিন সেতুর কাজ পরিদর্শনে আসেন।আধিকারিকরা মুর্তি সেতু ঘুরে দেখেন।ইতিমধ্যেই মুর্তি সেতু বন্ধ করে দিয়ে সেতু ভাঙ্গার কাজ শুরু হয়েছে।
পূর্ত বিভাগের মালবাজার ডিভিশনের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার কৌশিক ঘোষ বলেন, "আমরা আশা করছি আগামী দেড় বছরের মধ্যে মুর্তি সেতু সংস্কারের কাজ শেষ হয়ে যাবে। সেতুর ওপর দিয়ে একসাথে দুটি গাড়ি যেতে পারবে।থাকবে ফুটপাথ।বনদফতরঅনুমতি না দেওয়ায় ডাইভার্সন করা হচ্ছে না।সেতুটির সৌন্দর্যায়নও করা হবে।"
আরও পড়ুন- কাঠের জিনিস থেকে ব্যাগ, স্বনির্ভর মহিলাদের তৈরি সামগ্রী দেদার বিকোচ্ছে সৃষ্টিশ্রী মেলায়
এদিন পূর্ত বিভাগের আধিকারিকরা মাটিয়ালি বাতাবাড়ি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেলীবেগম,পঞ্চায়েত সদস্য বাপন রায়,সমাজসেবী বাবু হাসানের সাথেও এ বিষয়ে একপ্রস্ত আলোচনা করেন।
উত্তরবঙ্গের অন্যতম আকর্ষণ এই মূর্তি নদীতে সারা বছর জল দেখা যায়।তবে এই সময়ে জলের পরিমাণ কম হলেও জল অত্যন্ত ঠান্ডা ও পরিস্কার।
ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদীর থেকে কয়েক বছর থেকে বন্ধ রয়েছে পাথর কিংবা বোলডার তোলা । ফলে নদীর নিজস্ব রুপ সৌন্দর্যে ফিরে এসেছে ।তার মধ্যে একটি নদী হল মূর্তি নদী। চারিদিকের অপূর্ব সৌন্দর্যের জন্য বিভিন্ন ধরনের পর্যটকরা এখানে আসে।
যদিও সরকারের তরফে নদীর আশেপাশে নিষিদ্ধ রয়েছে পিকনিক করা। তবে সেতুর বেহাল দশা থাকার কারণে পর্যটকদের যাতায়াত করতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হতো। আশা করা হচ্ছে আগামী দেড় বছরের মধ্যে সেই সমস্যার সমাধান হবে। আরও সেজে উঠবে মূর্তি নদী।
সুরজিৎ দে