পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় একটি রাষ্ট্রয়াত্ত ব্যাঙ্কে পাঁচ দুষ্কৃতী জড়ো হয়েছিল ব্যাঙ্ক ডাকাতির উদ্দেশ্যে। চলছিল রেইকি। ব্যাঙ্কে সেই সময় বহু মানুষ। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের অপরাধ দমন বাহিনী প্রত্যেক দিনের মতই এলাকার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত রাখতে বেরিয়ে ছিল টহলে। সেই বাহিনীতে ছিলেন কর্তব্যরত অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন। তারা ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কেও যান নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে। সেই সময় দুইজনকে ব্যাংকের মধ্যেই ব্যাগ কাঁধে সন্দেহজনক অবস্থায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে। পুলিশ তাদের উপর নজর রাখে। তারপর ব্যাংকের বাইরেই একটি মোটর বাইক উদ্ধার হয়। যে মোটর বাইকের নাম্বার প্লেট দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। বাইক চেক করতে গিয়ে দেখা যায় ভুয়ো নাম্বার প্লেট। বাইকের মালিকের খোঁজ করতেই জালে আসে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে থাকা ওই দুই দুষ্কৃতী। এরপর তাদের দেহ তল্লাশিতে উদ্ধার হয় জাল আধার কার্ড, মুখ ঢাকা দেওয়ার বিভিন্ন কাপড়, স্ক্রু ড্রাইভার থেকে শুরু করে একাধিক সরঞ্জাম। এরপর পুলিশ তাদের আটক করে নিয়ে যায়।
advertisement
পুলিশ জানিয়েছে, জেরাতে তারা ডাকাতির ছকের কথা স্বীকার করেছে। ধৃত দুই দুষ্কৃতীর নাম বিরু কুমার যাদব (২৮), সতীশ যাদব (৪০)। তাদের কাছ থেকে জানা যায় সেখানে আরও তিনজন ছিলেন। যারা বর্তমানে পলাতক। পুলিশ আরও জানতে পারে ধৃতরা বহু রাজ্যে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। ভুয়ো পরিচয় ব্যবহার করে তারা আত্মগোপন করে থাকে।
এই ঘটনা একটি বৃহত্তর পরিকল্পিত অপরাধচক্রের অংশ। তদন্তের অগ্রগতির জন্য ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এদিকে পুলিশের এই তৎপরতার ফলে একটি বড় ডাকাতির পরিকল্পনা বানচাল হয়েছে। যার জন্য পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।